এই সময়: ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। এ নিয়ে একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সামনে এসেছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এক ছাত্র ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অভিযোগকারিণী ছাত্রীর খুব কাছে যাচ্ছেন এবং সরে আসছেন। অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি এক ছাত্রীর বুকে হাত দিয়েছেন অন্য জনের গালে চুমু খেয়েছেন। দুই ক্ষেত্রেই ছাত্রীর আপত্তি উড়িয়ে ওই ছাত্র এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিতে (আইসিসি) অভিযোগ জমা পড়েছে।
তরুণীর দাবি, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে তাঁকে এবং তাঁর এক বন্ধুকে যৌন হেনস্থা করা হয়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী লিখেছেন, ‘রাতে আমাকে এবং আমার এক বন্ধুকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে এক ছাত্রনেতা যৌন হেনস্থা করেছেন। আমার চোখের সামনে আমার এক জুনিয়রেরও শ্লীলতাহানি করা হয়। এখনও সে অভিযোগ জানানোর সাহস পায়নি। ওই ছাত্রনেতার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও যোগাযোগ নেই। তা সত্ত্বেও এর আগে একাধিক বার তিনি আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন। যখন তখন হাত ধরেছেন। গালে চুম্বন করার সাহসও দেখিয়েছেন। অচেনা এক জনের এই আচরণে আমি স্তম্ভিত এবং অপমানিত। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করুন।’
ওই ছাত্রনেতা এসএফআই–এর সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন তরুণী। যদিও এসএফআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রনেতাকে ২৮ জানুয়ারি বহিষ্কার করা হয়েছে। এসএফআইও এই ঘটনার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত চেয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে। আইসিসি-তেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে বলে বিষয়টি জানা গিয়েছে। কিন্তু শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে এই ধরনের ঘটনা কমানো যাবে না। যে বা যারা এমন ঘটনা ঘটায়, তারা আসলে বিকারগ্রস্ত। তার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না। আইসিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।