১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাত্ সোমবার থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination 2025)। হাতে আর মাত্র দুদিন। এহেন পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পায়নি অনেক পরীক্ষার্থী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ফের পোর্টাল চালু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ অর্থাত্ শুক্রবার দুপুর ২টো পর্যন্ত চালু থাকবে। এখন প্রশ্ন হল, সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, তার আগে ওই ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে যাবে তো? উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
আজ দুপুর ২টোর মধ্যে তারা অ্যাডমিট কার্ড
রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে অন্তত ৫০ জন অ্যাডমিট কার্ড পায়নি এখনও। আজ দুপুর ২টোর মধ্যে তারা অ্যাডমিট কার্ড না পেলে পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ঘোর নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দুপুরের মধ্যে মামলাকারী পড়ুয়াদের স্কুল কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য সংশোধন করতে হবে। তার ভিত্তিতে শুক্রবার পর্ষদের অফিস থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। শনি ও রবিবারের মধ্যেই ওই সব অ্যাডমিট কার্ড পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে তাঁদের।
পরীক্ষার্থী পিছু ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারপতি
হুগলির বেলমুড়ি স্কুলের এক মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর মেয়ের নামে অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু না করে বোর্ড একই নামের অন্য এক পরীক্ষার্থীর নামে অ্যাডমিট কার্ড দিয়েছে। যার নামে অ্য়াডমিট এসেছে, সে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। একাধিক স্কুলের অভিযোগ, স্কুলের প্রায় ২০০-২৫০ ছাত্র-ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত করার জন্য একজন মাত্র কর্মী রয়েছেন, তাই কোথাও ভুল হয়ে থাকতেই পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। যে সব স্কুলের ভুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি, সেই সব স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থী পিছু ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারপতি।
শিক্ষকরা রাখতে পারবেন না মোবাইলও
এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিরাপত্তায় ভীষণ কড়াকড়ি থাকছে। এমনকী গার্ড যাঁরা দেবেন, তাঁদের কাছে মোবাইলও থাকবে না। বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'প্রতিটি কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজ়ার বা সেন্টার সেক্রেটারি ওই কেন্দ্রের নজরদার শিক্ষকদের নাম রেজিস্টারে লিখে রাখবেন। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে মোবাইল নেই বলে লিখতে হবে। মোবাইল আনলে তা জমা রাখতে হবে ভেনু সুপারভাইজ়ার বা সেন্টার সেক্রেটারির কাছে। এর পরেও শিক্ষকদের কাছে ফোন আছে বলে ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাড হক কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।'