শুক্রবার সিবিআইয়ের আলিপুর আদালতে জামিন পেলেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বেআইনি নিয়োগ চক্রের পান্ডা মহেশকুমার চৌধুরী। সেনাবাহিনীর জওয়ান মহেশের বিরুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো নথির ভিত্তিতে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বেআইনি নিয়োগ–চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, মহেশ জামিন পেলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। মহেশ তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলে জানান ওই আইনজীবী। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তিনি তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, এই আশঙ্কাও আদালতে প্রকাশ করেন সিবিআই-এর আইনজীবী।
এ দিন আদালত সিবিআই-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে মহেশকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। গত বুধবার আলিপুরে সিবিআইয়ের সেকেন্ড কোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির মহেশের অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে এক কোটি টাকা।
২০২৩ সালের ৮ অগস্ট এই চক্র নিয়ে প্রথম এফআইআর হয়। এর পর কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া যে মামলার জেরে সিবিআই এই তদন্ত শুরু করেছে, সেখানে বলা হয় বেআইনি নিয়োগের চক্রটি ভারতীয় সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীতে পাকিস্তানিদের চাকরি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলাতেই উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর ডিপো–তে কর্মরত জওয়ান মহেশ কুমার চৌধুরীকে ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, এই চক্রের জাল বিদেশেও ছড়ানো। আর এর সঙ্গে সক্রিয় যোগ রয়েছে মহেশের।
গত বুধবার আদালতে অবশ্য মহেশের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেল স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে এক কোটি টাকা ব্যাঙ্কে রেখেছিলেন। বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহেশকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এ বার মহেশকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।