• ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উদ্ধার রক্তাক্ত বাংলাদেশির দেহ, গ্রেপ্তার,৭ বাংলাদেশি ও ৩ ভারতীয় নাগরিক ...
    আজকাল | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ছাবঘাটি  এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের 'জিরো পয়েন্টের' কাছে এক বাংলাদেশি নাগরিকদের দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। 

    জানা গিয়েছে, মাঝ বয়সি ওই বাংলাদেশি নাগরিকের নাম বারিকুল শেখ। তার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার স্কুল ছামপাড় এলাকায়।  জঙ্গিপুর জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান,' গোটা ঘটনায় বিএসএফের তরফ থেকে এটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাত পরিচয়, ওই ব্যক্তিকে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে উদ্ধার করে।' পরে তাঁকে স্থানীয় মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হলে চিকিৎসারা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে   সুতির ছাপঘাটি -চর সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ জওয়ানরা টহল দেওয়ার সময় 'নাইট ভিশন ক্যামেরা'র মাধ্যমে দেখতে পান আন্তর্জাতিক সীমান্তের 'জিরো লাইন'এর কাছে ৭-৮ জন ব্যক্তি মারামারি করছে। এরপরই  বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে ছুটে গেলে কয়েকজন  দৌড়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। যদিও রক্তাক্ত অবস্থায় বারিকুল ভারতীয় সীমান্তের ভেতরেই পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  তবে কী কারণে গভীর রাতে বারিকুল ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে কাদের সঙ্গে মারামারি করছিলেন তা নিয়ে ধোয়াঁশা রয়ে গেছে। 

    অন্যদিকে অপর একটি ঘটনায় অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে আসার পর আবার বাংলাদেশের ফিরে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানা এলাকায় বিএসএফের হাতে আটক হলেন ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। ধৃতদের পরে জলঙ্গী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তিন ভারতীয় দালাল। ধৃত ১০ জনকে শুক্রবার বহরমপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। 

    পুলিশ সূত্রের খবর ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম, স্বপন আলী, হামিদুল মন্ডল ,মহম্মদ রনি আহমেদ, মহম্মদ লিটন হোসেন, মহম্মদ রতন আলী,মহম্মদ মাহাবুল মন্ডল এবং জালাল বিশ্বাস। সকলেরই বাড়ি বাংলাদেশের দৌলতপুর থানার কুষ্টিয়া জেলায়। 

    জলঙ্গী থানার এক আধিকারিক জানান,ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রায় সাত মাস আগে  অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর তারা এই রাজ্যে এবং ভারতের অন্যান্য আরও কয়েকটি রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য চলে যায়। 

    পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরতে তৎপর হয়েছে। পুলিশের এই সক্রিয়তায় ভয় পেয়ে ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা নিজেদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে ভারতীয় কয়েকজন দালাল ধরে দেশে ফেরার চেষ্টা করছিল। সূত্রের খবর, বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করতে ভারতীয় দালালরা প্রত্যেকের কাছ থেকে ৭০০০ টাকা করে নিয়েছিল।   

    পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে কোনও ভারতীয় নথি পাওয়া যায়নি। কিছু ভারতীয় টাকা পাওয়া গিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)