১৬০০ মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আশায় বুক বাঁধছেন শালবনির মানুষ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০০৮ সালের ২ রা নভেম্বর জিন্দালদের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে, ওই দিনই ফেরার পথে তাঁর কনভয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়। শুরু হয় মাওবাদীদের আন্দোলন। জিন্দালরা ইস্পাত কারখানার পরিকল্পনা বাতিল করে। তার পর দেড় দশক অতিক্রান্ত। ইস্পাত কারখানার বদলে সিমেন্ট কারখানা গড়ার প্রস্তুতি নেয় জিন্দালরা। ২০১৮ সালে সেই কারখানার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেঙ্গল বিজনেস সামিট আরো একবার আশার আলো ছড়িয়ে দিল শালবনির মানুষের মধ্যে। প্রতি বছরই এই সামিট এর দিকে তাকিয়ে থাকেন জঙ্গল মহল এলাকার মানুষ।
এবছর বিজনেস সামিটে যোগ দিয়ে জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্নধার সজ্জন জিন্দাল শালবনিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ইস্পাত কারখানার বদলে ৮০০ মেগা ওয়াটের দু’টি পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে আরও ১৬ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করে ক্যাপাসিটি দ্বিগুণ করার ঘোষণাও সেরে রেখেছেন। শালবনিতে গড়ে উঠবে পাওয়ার প্ল্যান্ট। ফের আশায় বুক বাঁধা শুরু করেছেন শালবনি ব্লকের জামবেদিয়া, বরজু, পালইবনি, আসনাশুলি, চন্দনকাঠ, বাঁশকাটি, সীতানাথপুর, জামশোল, ঘাগরাশোল, বাঁশকোপনা, বরাগাদা সহ কয়েকটি গ্রামের জমিদাতারা। তাঁদের আশা পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি হলে তাঁদের কর্মসংস্থান হবে, যে জমিতে ইস্পাত কারখানা তৈরি হওয়ার কথা ছিল ইতিমধ্যেই এর একাংশে সিমেন্ট কারখানা তৈরি করেছে জিন্দাল গোষ্ঠী। বহু মানুষ সেখানে কাজ করছেন।
বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সজ্জন জিন্দাল ঘোষণা করেন , শালবনিতে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করে দু’টি ৮০০ মেগা ওয়াটের (মোট ১৬০০ মেগাওয়াট) পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। ইস্পাত কারখানা তৈরি করতে ৪ হাজারের বেশি একর জমি জিন্দালদের দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৮৪৯ একর জমিতে গড়ে উঠেছে সিমেন্ট কারখানা। বাকি জমি খালি পড়ে রয়েছে। শালবনি ব্লকের কুলফেনি, জামবেদিয়া, আসনাশুলি, নতুনডিহি, কাশিজোড়া, বড়জোড়া-সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের কয়েকশো জমিদাতা রয়েছেন। কাশিজোড়ার আসনাশুলি এলাকার বাসিন্দা সুদীপ মাহাতো জানান, তাঁরা আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন। সিমেন্ট কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে ৬০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে এতে জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা কম।