ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন শুরু। প্রথামাফিক এবারও রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে তা শুরু হবে। সেই মর্মে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। তবে বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে পুরনো বিবাদ উসকে দিলেন রাজ্যপাল! বরানগর ও ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়কদের শপথ জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে ফের তাঁদের আইনি চিঠি পাঠালেন সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সর্দারকে। বিধানসভার স্পিকার তাঁদের শপথ পড়ালেও তা ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ তুলে আদালতে আগে মামলা করেছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। পরে অবশ্য সায়ন্তিকা, রেয়াত ? দুজনেই বিধানসভার কার্যক্রমে যোগদান করেন।
২০২৪ সালে বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে কম টানাপোড়েন হয়নি। বিধানসভার তরফে নিয়ম মেনে রাজ্যপালকে বিধানসভায় গিয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ করানোর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, সায়ন্তিকা-রেয়াত যেন রাজভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তাতে আবার নারাজ ছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়করা। তাঁরা সবিনয়ে জানান, বিধানসভায় শপথ নেবেন। এনিয়ে তীব্র জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ অবশ্য তা কাটিয়ে জুলাই মাসে বাদল অধিবেশনের সময় বিধানসভায় সায়ন্তিকা-রেয়াতকে শপথ পড়ান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু সেই শপথ রাজ্যপালের মতে ‘বেআইনি’। সেকথা জানিয়ে আনন্দ বোস এও জানিয়েছিলেন, বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিলে সায়ন্তিকা-রেয়াতদের জরিমানা দিতে হবে। বিষয়টি আদালতের দোরগোড়াতেও পৌঁছেছিল। তবে সব জট কাটিয়ে নিজেদের এলাকায় কাজ করছেন বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়করা। এবার বাজেট অধিবেশনের আগে ফের সেই পুরনো শপথ-জট উসকে তুললেন সিভি আনন্দ বোস। সায়ন্তিকা-রেয়াতদের শপথ গ্রহণ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং রাজ্যপাল সম্পর্কে যে মন্তব্য করা হয়েছিল, তা নিয়ে ফের দুই বিধায়ককে চিঠি পাঠাল রাজভবন। যদিও চিঠি নিয়ে মুখ খোলেননি সায়ন্তিকা বা রেয়াত ? কেউই। ফলে বাজেট অধিবেশনের আগে এনিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হল।