• CAPF নিয়োগ দুর্নীতি: শুধু পাক নাগরিক নয়, আধাসেনায় বিদেশিরাও! CBI আদালতে জামিন খারিজ ধৃতের
    প্রতিদিন | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: আধাসেনায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও বড় আশঙ্কা তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুধু পাক নাগরিকরাই নন, বিদেশিরাও এক্ষেত্রে আধাসেনায় চাকরি পেয়েছে। বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে এই চক্রে। দুদিনের হেফাজত শেষে শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় ধৃত মহেশ চৌধুরীকে। দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক সুজিত কুমার ঝা তার জামিন খারিজ করে দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহেশ চৌধুরীকে ফের হেফাজতে পাঠানো হয়।

    শুক্রবার সওয়াল-জবাবের সময় ধৃত মহেশের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ”আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সঙ্গে তদন্তের মিল নেই। আজও সিবিআই দাবি করেছে, পাক নাগরিকরা লাভবান হয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এমন কোনও পাক নাগরিকের নাম দিতে পারল না যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত বা লাভবান হয়েছেন। তদন্তে ওঁরা বলেছেন ডোমিসিয়াল সার্টিফিকেটের কথা। এই সার্টিফিকেট জেলাশাসক বা এসডিও বা প্রশাসনিক কর্তারা দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে পিসি অ?্যাক্টে মামলা হয় না। কয়েকজন লোক চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা বিহার বা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। কিন্তু এভাবে চাকরি দেওয়া যায় কিনা প্রশ্ন থাকছে। এমন কোনও সিজার নেই যে যেখানে ওঁরা দেখাতে পারবেন আমার মক্কেল বাইরের লোককে চাকরি দিয়েছেন।” কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মহেশের বক্তব্য, ”গ্রেপ্তারের আগে আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুবার হেফাজতে নিলেন, কিন্তু কোনও অগ্রগতি নেই। সিবিআইয়ের আবেদন দেখুন, সেখানে নতুন কিছু বক্তব্য? আছে কি না।”

    অন্যদিকে, সিবিআইয়ের সওয়াল, ”মোডাস হল, সে ডোমিসিয়াল সার্টিফিকেট জাল করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ইস?্যু করা হয়েছে। কীভাবে করল? তাহলে কি সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল? এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ধৃতের। সার্টিফিকেট তৈরি করা থেকে চাকরি দেওয়া ? সব ক্ষেত্রে আর্থিক তছরূপ হয়েছে।” তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, মহেশ চৌধুরী তদন্তে সহযোগিতা করেনি, বিভ্রান্ত করেছে। এই নিয়োগে বিদেশি যোগের কথাও বলেছে সিবিআই। দাবি, শুধু পাক নাগরিকরাই নন, বিদেশিরাও এক্ষেত্রে আধাসেনায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক সুজিত কুমার ঝা ধৃতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে মহেশ চৌধুরীকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)