হুগলির শ্রীরামপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ। দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদকের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা নিজেদের বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছেন। জেলা সভাপতি যোগ্যদের সরিয়ে দলের কমিটিতে অযোগ্যদের স্থান করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি, এই যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলায় পুরনো ‘যোগ্য’-দের সরিয়ে ‘অযোগ্য’-দের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং তার নেপথ্যে রয়েছেন মোহন আদক, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেএম শা স্ট্রিটে বিজেপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান দলেরই একাংশ। দলের মণ্ডল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ দিন দলীয় কার্যালয়ে শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদকের ঘরেও তালা দিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে অবশ্য তিনি সেখানে ছিলেন না। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুরনো কর্মীদের সরিয়ে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তাঁর কাছের মানুষদের দলে বিভিন্ন পদ পাইয়ে দিচ্ছেন।’
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহন আদক। বিক্ষোভকারীরা বিজেপির কর্মী নন বলেও দাবি করেন তিনি। ওই বিজেপি নেতার কথায়, ‘কমিটিতে কে জায়গা পাবেন, তা নিয়ে জেলা সভাপতির কোনও ভূমিকা থাকে না। জেলা রিটার্নিং অফিসার এবং মণ্ডল রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন। তার ভিত্তিতে নির্বাচন হয়ে থাকে।’
তাঁর আরও দাবি, ‘কে বা কারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তা তিনি জানেন না। তবে তাঁরা বিজেপির কেউ নন। কারণ বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। আমাদের দলের কেউ এ ধরনের আচরণ করেন না।’
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু অবশ্য বলেন, ‘বিজেপির কিছু কার্যকর্তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে শুনলাম। মণ্ডল প্রেসিডেন্টের নির্বাচন নিয়ে কিছু ক্ষোভ ছিল তাঁদের। বিজেপির ভেতরে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
এ ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘ওঁদের মধ্যে কী নিয়ে গোলমাল হয়েছে তা জানি না। তবে হয়তো ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।’