আরজি কর মামলায় অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষদের বিরুদ্ধে সিবিআই অফিসে গিয়ে নথি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সিবিআই বিশেষ আদালতে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। শুক্রবার আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে এমনই জানালেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। এ-ও জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, সিবিআই অফিসে গিয়ে আগামী ৮-৯ ফেব্রুয়ারি মামলা সংক্রান্ত নথি দেখতে পারবেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। সে ক্ষেত্রে চার্জগঠনের শুনানিতে এই মুহূর্তে তৎপরতা দেখাতে পারছে না নিম্ন আদালত। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের তরফে রিপোর্ট ফাইল করা হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। তার পরেই হাই কোর্টে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বস্তুত, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ-সহ পাঁচ জনের নাম রয়েছে। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জ গঠন করতে হবে সিবিআইকে। গত বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার গতি কমানোর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সন্দীপেরা। সিঙ্গল বেঞ্চে পর পর দু’বার সেই আর্জি খারিজ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মামলা যায় হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে। তাঁরা সিবিআইয়ের চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জানান, অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে। এটা তাঁদের আইনি অধিকার। আদালত এ-ও জানিয়েছে, আরজি কর মামলার তদন্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাই নিম্ন আদালত যে শাস্তি দিয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করলে রায় চ্যালেঞ্জ করার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারই।
অন্য দিকে, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে হাই কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে আবেদন জানিয়েছিল, তা শুক্রবার খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই সংক্রান্ত সিবিআইয়ের আবেদনটি গ্রহণযোগ্য, জানিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।