মৌমিতা চক্রবর্তী: আশঙ্কা ছিলই। প্রথমদিনেই রীতিমতো 'অশান্তি'! সিপিএমে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সম্মেলনের তাল কাটল একাধিকবার। প্রতিনিধিদের শব্দ ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে দিলেন খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্ম সেলিম।
ঘটনাটি ঠিক কী? সব জেলাতেই সিপিএম সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। তালিকায় সবার শেষে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। অশান্তির আশঙ্কাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর। কিন্তু তাতেও অশান্তি আর এড়ানো গেল কই!
আজ, শুক্রবার সল্টলেকে জেলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনায় দলের তাবড় তাবড় নেতা। তাঁদের উপস্থিতিতেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এরিয়া কমিটি এক নেতাকে রীতিমতো বেগ পেতে হল প্রেসিডিয়ামকে। শেষে শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের কড়া 'ধমক' খেয়ে নাকি থামেন এরিয়া কমিটির ওই সদস্য! শুধু তাই নয়, জেলা সম্মেলনে খোদ জেলা সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তীকেই 'নন পারফরমিং' বলে তোপ দাগেন বেশিরভাগ সদস্যই। 'অসুস্থ, পারফরমেন্স নেই' , তাহলে পদ আগলে বলে থাকবেন? এই প্রশ্ন তুলে ঝামেল বাঁধে। প্রত্যাশিতভাবেই আসে তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ। তন্ময় দলের ভাবমূর্তি ডুবিয়েছে, আরও কড়া শাস্তির পক্ষে সরব হয়েছে অনেকেই।
এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা থেকে নাম প্রত্য়াহার করে নিয়েছিলেন ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই আবার দলের সর্বক্ষণের কর্মী! সূত্রের খবর, একজন অল্প বয়সের 'হোল টাইমার' যুব নেতাকে জেলা কমিটি তে না নেওয়ার প্রতিবাদেই কার্যত বিদ্রোহ করেন প্রস্তাবিত সদস্য প্যানেলের এক-তৃতীয়াংশ নেতাই।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, যে ১৬ জল জেলা কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার নিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়েই চালাতে হবে সাংগঠনিক কাজ। এমনকী, যে ৪ জনকে বাদ দেএয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দু'জনকে জেলা কমিটিতে নিতে হবে। কোন দু'জন থাকবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা কমিটিকেই।