সুব্রত বিশ্বাস: মাথায় ব্যান্ডেজ, মুখে রক্ত। এই অবস্থাতেই হাওড়া স্টেশনে ছাদের উঠে পড়ল এক যুবক! শুক্রবার দুপুরে এহেন দৃশ্য দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল হাওড়ায়। পথচলতি মানুষজন এই দৃশ্য দেখে জিআরপি-তে খবর দেন। তবে জিআরপি আসার আগে তাঁকে যাত্রীরা নিজেরাই নামিয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্টেশনেরই লোকজনের সাহায্য নিয়ে তাঁকে নিরাপজে নামিয়ে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কী উদ্দেশে তিনি এভাবে স্টেশনের ছাদে উঠে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দৃশ্যটা চোখে পড়ে হাওড়া স্টেশনের আশপাশ দিয়ে যাওয়া পথচারী, শ্রমিক, মজুরদের। দেখতে পান, ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ছাদের উপর উঠে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। মাথায় ব্যান্ডেজ, মুখে রক্তের দাগ। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি-কে খবর দেন। ওই ব্যক্তিকে নামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু ব্যর্থ হন। সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর স্টেশনে বোতল কুড়ানি যুবকরা ছাদে চড়ে যুবকে পাকড়াও করে। দমকলের সিঁড়ি দিয়ে তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে নামিয়ে আনেন। আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখে পুলিশ।
হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রবীন্দ্র। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার বাসিন্দা। হাওড়া স্টেশনে উঁচু ছাদে কীভাবে ওই ব্যক্তি, কী উদ্দেশ্যে উঠেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া কোথায়, কীভাবে ওই ব্যক্তি আহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি ওই ব্যক্তি। তবে দিনের আলোয় এত প্রহরার মাঝে কীভাবে ওই ব্যক্তি হাওড়া স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের ছাদে পৌঁছল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী মহলে।