জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে উদ্বোধনের জন্য ডাকা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে। কিন্তু তাঁকে ভুল সময় জানানো হয়েছিল বলে অভিযোগে। সেই ক্ষোভে মঞ্চে এসেও আয়োজকদের সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন না খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না। উগরে দিলেন ক্ষোভও। পুরো ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন আয়োজকেরা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রী হয়তো শুনতে ভুল করেছেন। তা ছাড়া, শিশুদের কথা ভেবে ‘যথা সময়ে’ অনুষ্ঠান শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্নাকে। কিন্তু জ্যোৎস্না ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখেন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। মঞ্চে উঠে পুরো বিষয়টি জানার পর আবার মঞ্চ থেকে নেমে যান মন্ত্রী। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা হয়েছে।’’
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সংসদের সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে ফোন করেছিলেন। তখন শ্যামল জানিয়েছিলেন শুক্রবার সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হবে। মন্ত্রী বলে দেন যথাসময়ে তিনি অনুষ্ঠানে চলে আসবেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, সকাল ৯টাতেই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। জ্যোৎস্না বলেন, ‘‘আমি যখন যাই, তখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ। এই অবস্থায় আমি আর মঞ্চে থেকে কী করব? তাই বেরিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গত কারণে আয়োজকদের সংবর্ধনা প্রত্যাখ্যান করেছি।’’
মন্ত্রী এ ভাবে মঞ্চ থেকে নেমে চলে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শ্যামল। তাঁর দাবি, ‘‘মন্ত্রীকে ৯টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা জানানো হয়েছিল। প্রতিযোগিতায় শিশুরা উপস্থিত রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়েছে।’’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিশুরা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। মন্ত্রী সেখানে দেরিতে পৌঁছন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এত মান-অভিমান করলে চলে না। আমরা দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি, এত অভিমান করলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?’’