সংবাদদাতা, মানকর: বৃহস্পতিবার কাঁকসার বামুনাড়ার একটি বহুতল আবাসনে লিফ্ট ছিঁড়ে পড়ে। তাতে এক সেনা জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। তারপরেও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আবাসন কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে এনিয়ে আবাসিকরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা ওই আবাসন কর্তৃপক্ষের অফিস ঘেরাও করে তালা লাগিয়ে দেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার লিফ্ট ছিঁড়ে পড়ায় গুরুতর জখম হন বছর ৩৪-এর সেনা জওয়ান কৃশানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাসিকরা জানান, কৃশানুবাবু ৫৮ নম্বর টাওয়ারের পাঁচতলা থেকে নীচে নামার জন্য লিফ্টে চেপেছিলেন। আচমকা তার ছিঁড়ে লিফ্ট নীচে পড়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষী ও আবাসিকরা বিষয়টি দেখে ছুটে আসেন। লিফ্টের দরজা ভেঙে কৃশানুবাবুকে উদ্ধার করে দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আর্মি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালে আবাসিকরা আবাসন কর্তৃপক্ষের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। কেন কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণে জোর দিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আবাসন কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে আবাসিকদের বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরে আবাসিকরা অফিস থেকে আধিকারিকদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার লিফ্ট ছিঁড়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও লিফ্টের রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। কিছুদিন আগেও একই সমস্যা হয়েছিল। তখনও কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। তবুও আবাসন কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই। দেবাশিস রায় নামে এক আবাসিক বলেন, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। আমরা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা দিচ্ছি। তারপরেও কেন এই ঘটনা ঘটবে? একটা করে দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই লিফ্ট সারানো হচ্ছে। এখানে কর্তৃপক্ষকে আর কোনও নতুন প্রজেক্ট করতে দেব না। এদিন আবাসিকরা সকলেই রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। যদিও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় বলে প্রজেক্ট ম্যানেজার কৌশিক চক্রবর্তী দাবি করেছেন। তিনি বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। লিফ্টের লাইসেন্স ইঞ্জিনিয়ারও এসেছিলেন। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা দেখা হচ্ছে। একই ঘটনা বারবার ঘটছে কেন? তিনি বলেন, এর আগে লিফ্টের এভাবে তার ছিঁড়ে যায়নি। এবার আমরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি, লিফ্টে মানুষ যাওয়ার কথা, সেখানে মালপত্র তোলা হচ্ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। লিফ্টের যে অংশ খারাপ ছিল, তা নজরে আসার পরই সারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবাসিকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁদের কিছু দাবি রয়েছে। এখনও আমাদের জানাননি। আবাসিকদের দাবি, রক্ষণাবেক্ষণ সহ নানা বিষয়ে জানিয়েও লাভ হয়নি। -নিজস্ব চিত্র