রেল লাইন পারাপার বন্ধ করে পাকা নির্মাণ, ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ
বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রেল লাইন টপকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে রেলের ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেলের কাজ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি জংশনের অদূরে ডাঙাপাড়া গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, রেল চাইলে লাইন পারাপারের জন্য লেভেল ক্রসিং গেট বসিয়ে দিক। নতুবা আন্ডারপাস করে দিক।
নলহাটি থেকে আজিমগঞ্জ যাওয়ার রেল লাইনের ধারে ডাঙাপাড়া, কাবিলপুর সহ একাধিক গ্রাম। বহু আগে ডাঙাপাড়ার কাছে রেলগেট ছিল। স্থানীয়রা সেই গেট দিয়ে লাইন পেরিয়ে কলিঠা গ্রাম পঞ্চায়েত, স্কুল, কবরস্থান, ইদগাহ সহ নানা জায়গায় যাতায়াত করতেন। তখন ছিল সিঙ্গল লাইন। কয়েকবছর আগে তা ডবল লাইন হয়। সেই সময়ে রেল লেভেল ক্রসিং তুলে দিয়ে বাইপাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো বাইপাস তৈরি হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইন পেরিয়েই যাতায়াত করত স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি নলহাটি–পাকুড় শাখার সঙ্গে নলহাটি–আজিমগঞ্জ শাখার রেল লাইনের সংযোগের কাজ শুরু করছে রেল। অভিযোগ, বিকল্প ব্যবস্থা না করে পাকা নির্মাণ করে লাইন পারাপার বন্ধ করেছে ঠিকাদার সংস্থা। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাঙাপাড়ার কাছে রেল লাইনের ধারে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা কাজে বাধা দেন। বিক্ষোভকারী আলম শেখ বলেন, ব্রিটিশ আমলের ম্যাপে এখানে রেলগেটের উল্লেখ রয়েছে। রেল সেটা তুলে দিয়ে এখন পাকাপাকি ভাবে পারাপার বন্ধ করে দিতে চাইছে। রেল লাইনের ওপারে করবস্থান সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনসাধারণের ব্যবহার্য পুকুর সব রয়েছে। নিত্যদিন লাইন পেরিয়ে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা কিছুটা হেঁটে জাতীয় সড়কে উঠে নলহাটি শহর, বহরমপুর যাতায়াত করেন। আমাদের দাবি, পুনরায় গেট বসিয়ে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। গ্রামবাসীরা বলেন, গ্রামের কাছেই রেলের সাঁকো রয়েছে। রেল চাইলে সেখান দিয়েও আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। আর এক বিক্ষোভকারী ইমাম হোসেন বলেন, রেল যদি জোর করে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিতে চায় তাহলে জনস্বার্থে মামলা করব।
এদিন ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গ্রামবাসীরা একটি গণস্বাক্ষরিত অভিযোগও জমা দেন। বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বেগতিক বুঝে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে এলাকা ছাড়ে ঠিকাদারের লোকজন। এই নিয়ে স্থানীয় রেল কর্তাদের কেউই কিছু বলতে চাননি। • নিজস্ব চিত্র