• কালনার ছোট দেউড়ি কালী মন্দিরে পাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: কালনা শহরের ছোট দেউড়ি এলাকায় প্রাচীন কালীমন্দিরে শুক্রবার নতুন পাথরের মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠান হল। সেইসঙ্গে নবরূপে একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকেই কালনা থানার পরিচালিত এই মন্দিরে যাগযজ্ঞ, পূজার্চনা ও ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।


    এদিনের অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী প্রাণরূপানন্দ মহারাজ, গৌরব মহারাজ, কাশীর পুরোহিত অর্পণ চক্রবর্তী, কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী পুতুল ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে এলাকায় উৎসবের মেজাজ ছিল। ভক্তরা মানত পূরণে পুজো দেন।ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী ছোটদেউড়ি এলাকায় আগে কালনা থানা ছিল। থানা লাগোয়া এলাকায় ১০০বছর আগে এক বহিরাগত সাধু দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্যামাকালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে থানা কালনা শহরের অন্যত্র চলে গেলেও থানার পুলিসকর্মীরাই কালীপুজোর দায়িত্ব পালন করেন। পুরনো থানা পুলিসকর্মীদের বারাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহুবছর ধরে পুলিসকর্মীদের পরিচালনায় এভাবেই পুজো হয়ে আসছে। একসময় টিনের চালার মন্দির ছিল। এখন স্থায়ী মন্দির হয়েছে। নিত্যপুজোর পাশাপাশি পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে বিশেষ পুজোপাঠ হয়। কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সঙ্গে বাৎসরিক পুজো হয়। এতদিন মাটির প্রতিমায় দেবীর পুজো হতো। এলাকার ভক্তরা চাইছিলেন, পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হোক। সেইমতো কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য পাথরের মূর্তি স্থাপনে উদ্যোগী হন। সেইমতো দেবীর পাথরের বিগ্রহ আনা হয়। শুক্রবার দেবীর পুরনো মূর্তির বদলে নতুন পাথরের কালীমূর্তি স্থাপন, প্রাণপ্রতিষ্ঠা, যাগযজ্ঞ হয়। পাথরের শিবলিঙ্গ স্থাপিত হয়। দেবীমূর্তির দু’পাশে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ ও মা সারদার মূর্তি। ভক্তরা জানালেন, এই মন্দির নিয়ে নানা অলৌকিক ঘটনার জনশ্রুতি রয়েছে। অনেকেই নাকি শুনেছেন, নিশুতি রাতে নৃত্যরতা দেবীর পায়ের ঘুঙুরের আওয়াজ। পাথরের কালীমূর্তি স্থাপনে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। মন্দিরের সেবাইত প্রবীণা কাজলদেবী বলেন, মা খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে চাইলে মনোবাসনা পূরণ করেন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)