সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল রামপুরহাট শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলামাঠ পাড়ায়। পাঁচ থেকে ছ’ভরি সোনার গয়না ও নগদ ৫১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকায় এই চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। চুরির ঘটনার কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
চাকলামাঠ পাড়ায় দ্বিতল বাড়ি কাজি এনামুল হোদার। তিনি আগে আরবে কাজ করতেন। কয়েকবছর আগে তিনি রামপুরহাটে ফিরে এসে পাথরের ক্র্যাশারের ব্যবসা শুরু করেন। বুধবার ভোরে তিনি ঘরে তালা দিয়ে শাশুড়ির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় যান। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা খুলতেই দেখেন ভিতরে সব জিনিসিপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। নীচের তলায় থাকা দু’টি আলমারি ও দ্বিতলের ঘরগুলির ওয়ারড্রবগুলি খোলা। এনামুল সাহেব বলেন, বাড়িতে ঢোকার গেটে ও দরজার তালা লাগানোই ছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। দুষ্কৃতীরা পিছনের দিকে রান্নাঘরের গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল। দু’টি আলমারি ও ওয়ারড্রব থেকে পাঁচ থেকে ছ’ভরি সোনার গয়না, নগদ ৫১ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। রাতেই তিনি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দু’জনের বাড়ির বাইরে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তাতে কোনও ছবি উঠেছে কি না জানি না। যদিও পুলিস জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরাগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।
ওইদিনই নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামে তিনটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের শীতলা পাড়ায় কয়েকশো বছরের প্রাচীন বুড়ো শিবমন্দির রয়েছে। এদিন সকালে স্থানীয়রা ঘুম থেকে উঠে মন্দির প্রাঙ্গনে এসে দেখেন শিবলিঙ্গটি নেই। খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। গ্রামবাসী রবীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, প্রাচীন শিবলিঙ্গটি কষ্টি পাথরের ছিল। যার চারিদিক সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো ছিল। দুষ্কৃতীরা সেই শিবলিঙ্গ তুলে নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপাড়ার দু’টি কালীমন্দিরে বেদির পাশে থাকা বেশ কয়েকটি কালো পাথর নিয়ে যায় চোরেরা। চুরির ধরন দেখে গ্রামবাসীদের ধারণা, একটি দলই তিনটি মন্দিরে চুরির সঙ্গে যুক্ত।