সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকায় কাঠামো বানিয়েছিল জংশনের ৪০টি পরিবার। দিন কয়েক আগে রেলের পক্ষ থেকে জংশনের ওই ৪০টি পরিবারকে নোটিস দিয়ে বলা হয় রেলের জমিতে কংক্রিটের কোনও নির্মাণ করা যাবে না। তৈরি হওয়া কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। তারপরেই পরিবারগুলি কাঠামো ভেঙে ফেলতে শুরু করেছে। আবাসের প্রথম কিস্তির টাকায় কাঠামো ভেঙে ফেলে অসহায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রী এখন বিপাকে পড়েছে।
ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীটি এখন বলতে গেলে কার্যত খোলা আকাশের নীচেই পরীক্ষার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। জংশনের ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা সানিয়া রায় নামে ওই দুঃস্থ পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন এলাকার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। শুক্রবার ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়ে সুমনবাবু তাঁর বিধায়ক তহবিলের অর্থে আচ্ছাদনের জন্য দু’টি ত্রিপল কিনে দেন। পড়াশোনার প্রস্তুতিতে অন্য কোনও সমস্যা হলে তারজন্যও সানিয়াকে সাহায্যের আশ্বাস দেন বিধায়ক।
ছাত্রীটির বাবা নেই। মা ও এক ছোট ভাইকে নিয়ে ইন্দিরা কলোনিতে রেলের জমিতে বসবাস করছে। মা দিন মজুরি করে কোনওরকমে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেন। বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে ঝুপড়ি ভেঙে কাঠামো তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু রেলের নোটিস পাওয়ার পর কাঠামোও ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। সানিয়া বলে, কাঠামো ভেঙে ফেলার পর কোনওরকমে মাথার উপর ও চারপাশে কাপড় টাঙ্গিয়ে রাত কাটাচ্ছি। এভাবেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিধায়ক দু’টি ত্রিপল দেওয়ায় ভালো লাগছে। বিধায়ক সুমনবাবু বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীটির এই অবস্থার কথা শুনে ওর বাড়িতে যাই। আমরা ওই ছাত্রীর পাশে আছি।
(দুঃস্থ পরীক্ষার্থীর পাশে সুমন কাঞ্জিলাল। - নিজস্ব চিত্র।)