• ‘বাংলার বাড়ি’ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি বিধায়কের নিকট আত্মীয়
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর করার জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের এক নিকট আত্মীয়। আবাসের প্রথম কিস্তির টাকায় ইতিমধ্যেই বাড়িতে পাকা ঘর বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। 


    শুক্রবার সকালে কোচবিহার উত্তর বিধানসভার পুণ্ডিবাড়ি অঞ্চলে প্রাতর্ভ্রমণে জনসংযোগে যান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। পুণ্ডিবাড়ির দক্ষিণ কালারায়েরকুঠি গ্রামেও যান তিনি। ওই গ্রামেই রয়েছে বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভাপতি তথা এলাকার এমএলএ সুকুমার রায়ের বাড়ি। সেখানে গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের সময় জানতে পারেন বিধায়কের আত্মীয় খুশিমোহন সরকার বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে ঘরের কাজে হাত দিয়েছেন। ওই বাড়িতে উপস্থিত হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। 


    তৃণমূল নেতাকে কাছে পেয়ে ঘর পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান খুশিমোহন। বলেন, ঘর পেয়ে আমি খুবই খুশি। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ। এই সরকারি ঘর পেয়ে আমরা যে কত উপকার হল সেটা বলে বোঝানো যাবে না। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তাই ধন্যবাদ। তিনি এও জানান, এলাকার বিজেপি বিধায়ক আমার নিকট আত্মীয়। সম্পর্কে পিসতুতো ভাই হলেও এখনও পর্যন্ত ওঁর দল বিজেপির কাছ থেকে কোনও কিছুই পাইনি। 


    তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলার বাড়ির ঘর বণ্টন নিয়ে বিজেপি সহ বিরোধীরা বারবার মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, আবাসের ঘর নাকি বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের আত্মীয় নিজেই ঘর পেয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এখন কি বলবেন বিরোধীরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎবাবু বলেন, বিজেপির নেতারা বারবার বলেন আমরা নাকি পক্ষপাত করি। তাহলে তো বিজেপির জেলা সভাপতির আত্মীয় ঘর পাওয়ার কথা না। উনি সরকারি ঘর পেয়েছেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে আমরা কোনও পক্ষপাত করি না। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর বণ্টনের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা সঠিক। গ্রামের মানুষ ঘর পেয়ে যে কতটা খুশি সেটা বিজেপি নেতারা বুঝবেন কি করে! 


    এ বিষয়ে বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, খুশিমোহন সরকার যে আমার আত্মীয় হন, সেটা অস্বীকার করছি না। গরিব মানুষ ঘর পেয়েছে ভালো। কিন্তু যাঁরা বিজেপি করেন তাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য হলেও তাঁরা ঘর পাননি। তাঁরা বাড়িতে ত্রিপল টাঙিয়ে থাকছেন। এমন ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে।


    (সরকারি ঘর পাওয়া বিজেপি বিধায়কের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)