সংবাদদাতা, দিনহাটা: বাকি ওয়ারিশদের না জানিয়ে নিজের নামে জমি লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে। এমনই কাণ্ড দিনহাটায়। উঠছে এরকম একাধিক অভিযোগ। এমন অভিযোগ পেয়ে সরাসরি দিনহাটা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে হাজির হলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। দালালদের সহযোগিতায় জমি নিয়ে এই অন্যায় কাজকর্মের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। দিনহাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। রাজ্যের মন্ত্রীর মুখেই এহেন অভিযোগ শুনে শোরগোল পড়েছে দিনহাটায়।
উদয়ন বলেন,শহরের এক ব্যক্তি তাঁর শরিকদের জমি থেকে বঞ্চিত করছেন। বঞ্চিত ওয়ারিশরা শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হাজির হন। জমি বেদখলের একাধিক কাগজপত্র দেখান। সেগুলি দেখে অনিয়ম ধরতে পারেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, ওই ব্যক্তির ঠাকুরদার একাধিক সন্তান-সন্ততি রয়েছে। তাঁর বাবারও একমাত্র সন্তান নন ওই ব্যক্তি। তা সত্ত্বেও নিজেকে সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র ওয়ারিশ দাবি করে কাগজপত্র বানিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির এই অনৈতিক কার্যকলাপে সহায়তা করেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। এই অভিযোগ পেয়েই অফিসে আসি। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ছুটিতে থাকায় সাহেবগঞ্জের আধিকারিক তড়িঘড়ি অফিসে চলে আসেন। তিনি বিষয়টি মন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা রেজিস্ট্রি আধিকারিক ওই অফিসে আসেন। মন্ত্রীর অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, একজনের জমি আরেকজনের নামে বিক্রি হচ্ছে। সেই রেজিস্ট্রির কাগজ দেখিয়ে জমি হস্তান্তর করছে বিএলআরও অফিস। দালালচক্রের মাধ্যমে এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত সাব রেজিস্ট্রি অফিস। দিনহাটা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসি। সেখানে এক আধিকারিক মন্তব্য করেন, দিনহাটা সংহতি ময়দান বিক্রি হলেও তাদের কিছু করার থাকবে না। এই অনৈতিক কাজ বন্ধ হওয়া দরকার।
এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা রেজিস্ট্রার গৌতম রায় চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে দিনহাটা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসি। আমার আসার আগেই মন্ত্রী বেরিয়ে যান। মন্ত্রীর অনুগামীদের কাছে অভিযোগ শুনি। আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।