নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের এসএলএসটি শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় নিয়োগকে কেন্দ্র করে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল রাজ্য। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে বলতে শোনা যায়, একসময় যে সরকারি স্কুলে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব পড়াশোনা করেছেন, সেখানে এখন ক্লাসই ভরে না এবং কোথাও কোথাও শিক্ষক-শিক্ষিকার থেকে পড়ুয়ার সংখ্যা কম! শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কেউ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এগিয়ে যাননি।
এসএলএসটি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা বিচারাধীন। এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, শীর্ষ আদালতের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান, নিয়োগ কি এখন সম্ভব? তার প্রেক্ষিতে এজি’র বক্তব্য, স্কুলগুলির সমস্যা হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট ২৫ জন মামলাকারীর পদ ফাঁকা রেখে বাকিদের ক্ষেত্রে নিয়োগ সম্পন্ন হোক। এরপর বিচারপতি বসু রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘ছাত্রদের কথা কি ভাবেন? রাজ্য কি প্রতিবছর চাকরি দিতে ইচ্ছুক হয়?’ এরপর বিচারপতিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুলের কী অবস্থা! এগুলো কি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতা নয়? শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য কেউ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এগিয়ে আসেননি।’ সরকারি স্কুল সম্পর্কে বিচারপতি এরপর বলেন, ‘সরকারি স্কুলের কি আর আগের মতো অবস্থা আছে? আগে পড়ুয়ায় ভর্তি থাকত ওই স্কুলগুলি। বহু বিখ্যাত মানুষ সেখানে পড়াশোনা করেছেন।’ বিচারপতি জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। আদালত বিষয়টি নিয়ে তারপরই বিবেচনা করবে।