এই সময়: হেলে রয়েছে বেআইনি নির্মাণ। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে সরাসরি ফোন করে শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এই অভিযোগ জানালেন এক বাসিন্দা। শুনেই সংশ্লিষ্ট বোরোর আধিকারিকদের তপসিয়া এলাকার ওই দুই ঠিকানায় দ্রুত যাওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।
এর পরেই মেয়র জানান, ছোট জমিতেও পুরসভা বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশ ছটাক থেকে তিন কাঠা পর্যন্ত জমি রয়েছে, এমন জমির মালিকরাও এ বার বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন পাবেন। এই সব জমির মালিকরা আবেদন জানানোর ১৫ দিনের মধ্যে প্ল্যানের অনুমোদনপত্র হাতে পাবেন। তা পেতে দেরি হলে সরাসরি মেয়রের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।
ছোট জমিতে ছাড়ের সিদ্ধান্ত পুরসভা আগেই নিয়েছিল। এই নিয়মকে আইনে পরিণত করতে খসড়া পাঠানো হয়েছে নবান্নে। তবে এখনও নবান্ন থেকে সবুজ সঙ্কেত আসেনি। ফিরহাদ বলেন, ‘মেয়র পারিষদবর্গের একটা বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে গড়ফার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিডল রোডে একটি দশ ছটাক জমির উপরে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মেয়র জানান, বেআইনি নির্মাণ রুখতে আপাতত এই প্রক্রিয়ায় ছোট প্লটে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করবে পুরসভা। নবান্নের সায় মিললে তখন এমআইসি বৈঠকের মাধ্যমে বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। মেয়র বলেন, ‘কেউ বেআইনি নির্মাণ করবেন না। কারও কথা শুনে প্রলোভনে পা দেবেন না। যত ছোট জমি থাকুক বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করিয়ে বাড়ি করাতে হবে।’
প্রশ্ন ওঠে, ছোট প্লটে কেউ যদি দোতলা বাড়ির অনুমোদন করিয়ে চারতলা তুলে ফেললে কী হবে? মেয়র জানান, বেআইনি অংশের পুরোটাই ভেঙে দেবে পুরসভা। এ ক্ষেত্রে কোনও রফা বা আপস হবে না।