• আধাসেনায় আরও বিদেশি? জেল হেফাজতে সেই মহেশ
    এই সময় | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীতে জাল পরিচয়পত্রে বিদেশি নাগরিকের নিযুক্ত হওয়ার অভিযোগের তদন্তে এ বার পাকিস্তান ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকেরও সন্ধান মেলার ইঙ্গিত দিল সিবিআই। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ইতিমধ্যে ধৃত মহেশকুমার চৌধুরীকে সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়।

    সিবিআইয়ের তরফে ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয়। ধৃতের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিন–আর্জির বিরোধিতা করে দাবি করেন, ‘জামিন দিলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। ধৃত মহেশ জাল নথি দিয়ে বেআইনি ভাবে অনেককে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।

    ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বানানো থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া পর্যন্ত অনেকের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে মহেশের। টাকার লেনদেনও রয়েছে। ধৃত হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে সহযোগিতা করেননি। জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। কোটি কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।’

    পাল্টা অভিযুক্তর আইনজীবী দাবি করেন, অভিযোগ যা করা হয়েছিল আর যা তদন্তে উঠে এসেছে তাতে অনেক ফারাক। পাকিস্তানি কেউ বেনিফিটেড কিনা, সে নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু কি পেয়েছে সিবিআই? পাকিস্তানি কেউ চাকরি পেয়ে থাকলে সিবিআই নাম দেয়নি কেন? ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরির ক্ষেত্রে ধৃতের যদি ভূমিকা থাকে তা হলে যাঁরা ইস্যু করেছেন— ঊর্ধ্বতন সেই আধিকারিকদেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

    তাঁদের নাম কোথায়? মহেশকে পনেরো বার ডাকার পরে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। উত্তর প্রদেশ বা বিহারের বাসিন্দা যে ২৫–২৯ জন চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়। কয়েক জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে।

    এখন সিবিআইয়ের অভিযোগ পাকিস্তান ছাড়াও অন্য দেশের কেউ বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুজিতকুমার ঝা অবশ্য ধৃতকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

  • Link to this news (এই সময়)