এই সময়, নিমতা: একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভাড়া বাড়িতে ডেকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই নাবালক–সহ চারজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চার অভিযুক্তকে।
আদালতের নির্দেশে দুই নাবালককে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি দু’জনের নাম সিরাজুল আলি মণ্ডল ওরফে ভিকি (২৯) এবং কওসর আলি মণ্ডল ওরফে আকাশ (৩৮)।
ধৃত সিরাজুল ও কওসর বিমানবন্দর থানার অধীন শরৎ বোস লেনের বাসিন্দা৷ শুক্রবার ধৃত দুজনকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। দমদমের বাসিন্দা বছর সতেরোর ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গল ও বুধবার। বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকা নিমতা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।
এক বন্ধুর মাধ্যমে পেশায় নাচের প্রশিক্ষক সিরাজুলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নাবালিকার। কওসর লোহা লক্কড়ের ব্যবসা করত। সেই সূত্রে নিমতার ফরিদপুর পল্লিতে এক কামরার একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল সে। সেখানেই কওসরের সঙ্গে মাঝেমধ্যে যেত সিরাজুল। একসঙ্গে বসে মদ্যপানও করত তাঁরা। ধৃত দুই নাবালকও সিরাজুলের পরিচিত হওয়ায় তারাও মাঝেমধ্যে নিমতার ওই ভাড়া বাড়িতে উঠত। সেখানেই দুই নাবালকের একজনের সূত্রে নির্যাতিতার সঙ্গে সিরাজুলের কথা হয়।
অভিযোগ, গল্প করার ছলে চলতি সপ্তাহের প্রথমে নিমতার ওই বাড়িতে নাবালিকাকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে আগে থেকেই সিরাজুল, কওসর ও দুই নাবালক উপস্থিত ছিল। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ওই ভাড়া বাড়িতে নাবালিকা যাওয়ার পর মাদক খাইয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। অভিযোগ, বুধবার ফের ওই নাবালিকাকে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ানোর নাম করে ডেকে গণধর্ষণ করা হয়। কোনও মতে নাবালিকা সেখান থেকে বাড়িতে ফেরে। লজ্জায়, অপমানে বাড়িতে প্রথমে সে কাউকে কিছু বলার সাহস দেখায়নি।
বৃহস্পতিবার ফের তাকে ওই বাড়িতে যেতে বলা হয়। কিন্তু মেয়েটি যেতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি তারা সকলকে জানিয়ে দেবে বলে ব্ল্যাকমেল করার হুমকি দেয়। এর পরই নাবালিকা বৃহস্পতিবারই পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনা জানায়। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা দমদম থানায় যান। পরে তাঁরা নিমতা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। নিমতা থানার পুলিশ রাতেই চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে।