• শিলিগুড়ি পুলিশের মাথাব্যথা এখন বানজারা গ্যাং
    এই সময় | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়,শিলিগুড়ি: বানজারাদের নিয়ে সমস্যায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। কখনও হাত সাফাই, আবার কখনও চুরিতে নাম জড়াচ্ছে বানজারা–গ্যাংয়ের। শহরের যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে তাদের ঠেক। সব থেকে বড় বিষয় বানজারাদের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে। এর ফলে শহরে অপরাধও বাড়ছে।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির তিনবাত্তি এলাকা থেকে পাঁচ জন বানজারা মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ধৃতদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মোবাইল চুরি করতো। পাঁচ জনের গ্যাংয়ে সব সময় কোলের শিশু এবং এক নাবালককে রাখা হতো। নিজেদের অন্তর্বাসে এই মোবাইলগুলি লুকিয়ে রাখত অভিযুক্তরা। শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাকেশ সিংয়ের বক্তব্য, ‘অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোথায় কোথায় মহিলারা চুরি করতো সে সব দেখা হচ্ছে।’

    বৃহস্পতিবার রাতে এনজেপি থানার পুলিশের কাছে খবর আসে ৪-৫ জন মহিলা শিলিগুড়ির তিনবাত্তি এলাকায় মোবাইল বিক্রির জন্য ইতস্তত ঘোরাফেরা করছে। সাদা পোশাকের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। ওই মহিলারা জানায়, তাঁরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল চুরি করে।

    পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তরা আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বানজারা হিসেবে থাকে। মাস তিনেক আগে অভিযুক্তরা শিলিগুড়িতে এসেছিল। প্রথমে দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন এলাকায় থাকলেও এলিভেটেড করিডরের কাজ শুরু হওয়ায় ওই এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের জন্যে তাদের উঠে যেতে হয়। এরপর ফুলবাড়ি এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় বসবাস শুরু করে।

    শহরে ঘুরে বেড়ানো এসব বানজারাদের তথ্য না থাকায় তদন্তে সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। এর আগে শিলিগুড়ির একটি সোনার দোকানে হাত সাফাইয়ে বানজারাদের নাম জড়িয়েছিল। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বানজারা গ্যাং দোকানে হাত সাফাই করে বেরিয়ে যাচ্ছে।

    কিছুদিন আগে মাটিগাড়ার একটি পাঁচতারা হোটেলে বিয়ের আসর থেকে ৮০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, বানজারা গ্যাং শিলিগুড়িতে রাস্তার পাশে ঘর করে থাকে। তারপর রেকি করে জিনিসপত্র হাতায়।

  • Link to this news (এই সময়)