এই সময়: উৎসবের মরশুম শেষ। কিন্তু তার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে শহরের পার্কগুলি। পুজো এবং ক্রিসমাস কার্নিভালের পরে শহরের বহু পার্ক এখনও বেহাল। ভিড়ের চাপে উঠে গিয়েছে সবুজ ঘাস। ভেঙে পড়ছে কংক্রিটের চেয়ার। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য পার্কের মধ্যে দোলনা, স্লাইড–সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম থাকলেও সেগুলোও ব্যবহারের অবস্থায় নেই। কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শহরের বহু পার্কে ফি–বছর দুর্গাপুজো হয়। কোথাও কালীপুজোও হয়।
পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্ক–সহ বেশ কিছু উদ্যানে ক্রিসমাস কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। উৎসবের মরশুমে শহরের বহু পার্কে মেলা হয়। এর জেরে প্রত্যেক বছর পার্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উৎসব পর্ব মিটে যাওয়ার পর পুরসভা পার্কগুলিকে মেরামত করে। এ বার বিভিন্ন বরো থেকে পার্ক মেরামতির জন্য ফাইল পাঠানো হলেও টাকার অভাবে কাজ শুরু যাচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘সব পার্ক একসঙ্গে মেরামত করার মতো আর্থিক সঙ্গতি পুরসভার নেই। তাই বেছে বেছে ফাইল ছাড়তে হচ্ছে। যেখানে সব ভেঙেচুরে গিয়েছে, সেগুলোকে মেরামত করা হবে।’
কলকাতায় শহরের সবথেকে বড় ক্রিসমাস কার্নিভাল হয় অ্যালেন পার্কে। বিশাল স্টেজ বাঁধা হয়। পার্কের মধ্যে অনেক স্টলও বসে। গত ডিসেম্বর–জানুয়ারির কার্নিভাল মিটে গেলেও এখনও তার ক্ষতচিহ্ন রয়ে গিয়েছে। পার্কের ভিতরে একাধিক খেলার সরঞ্জাম ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঝুলছে ত্রিফলা আলো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত দেশপ্রিয় পার্ক সবুজ ঘাস দিয়ে মোড়া ছিল। কিন্তু এখন সেখানে ঘাসের কার্যত অস্তিত্বই নেই। ম্যাডক্স স্কোয়ারেও দুর্গাপুজোয় প্রচুর লোক সমাগম হয়। সেই পার্কও বেহাল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সংলগ্ল দর্জিপাড়া পার্কে ফুটবল খেলা বন্ধ। সেটা এখন সমাজবিরোধীদের আখড়া বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এক সময়ে এই পার্কে পর্যাপ্ত আলো ছিল। তার মধ্যে বহু আলো খারাপ পড়ে রয়েছে। পাশেই রয়েছে যতীন্দ্র মৈত্র পার্ক। সেখানেও সন্ধের পর নানা কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ পার্কে ঢুকতে সঙ্কোচ বোধ করেন।