নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবছর মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল অন্তত ৬২ হাজার। মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন ছাত্রছাত্রী এখনও নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। তবে, আদালতের নির্দেশের পরে নথিভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাআরও কিছু বাড়বে। সংখ্যাটি গতবছর ছিল ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৬৩৬। মোট ২,৬৮৩টি স্কুলে এবছর মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। সোমবার সকাল বেলা পৌনে ১১টা থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা।
নারীশিক্ষার প্রসারে রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের আশীর্বাদে শিক্ষায় মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ছে। এবছরের ছবিও তার ব্যতিক্রম নয়। মোট ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬০৩ জন ছাত্র মাধ্যমিক দিচ্ছে। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০।
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও প্রধান ভেন্যুর সংখ্যা ৯৮৬ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৯৪৭। তবে, প্রশাসনিক সুবিধার্থে সাব-ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। টোকাটুকি রুখতে মালদহ জেলার দিকে বিশেষ নজর থাকছে। গতবছর প্রশ্নফাঁসের চেষ্টায় জড়িত থাকার জন্য এই জেলা থেকেই ৪০-৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। তাই এই জেলায় বাড়তি অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার থাকবেন একজন। সাব-ভেন্যুগুলিতে ঘুরে ঘুরে নজর রাখবেন তিনি। প্রশ্নপত্র দেওয়ার পরে কোনও পড়ুয়ার কাছে মোবাইল ফোন বা স্মার্ট ওয়াচের মতো সামগ্রী পাওয়া গেলে তার পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এদিকে, আদালতের নির্দেশে অ্যাডমিট কার্ড তৈরির জন্য নাম নথিভুক্তির অনলাইন পোর্টাল খোলার পরে দুপুর পর্যন্ত ১৮১ জন পড়ুয়ার আবেদন জমা পড়েছে স্কুলের মাধ্যমে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ৯,৬৪৫টি স্কুল তাদের ছাত্রছাত্রীদের নাম সঠিকভাবে নথিভুক্ত করেছে। তারা অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও গিয়েছে যথাসময়ে। অথচ, আশ্চর্যজনকভাবে ১৩৬টি স্কুল তা পারেনি। সেই স্কুলগুলি থেকেই আবেদন আসছে। আরও একটি অদ্ভুত তথ্য দেন সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, পেডংয়ের একটি স্কুল গতবছরও জরিমানা দিয়ে অ্যাডমিট কার্ড নিয়েছে। তারা আবেদনকারী এবছরও! আবার মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের মেধাবী ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের তথ্যই জমা দেয়নি স্কুল—সামনে আসছে এমন তথ্যও।
এবছর অ্যাডমিট কার্ডেও যে ভুলভ্রান্তি রয়েছে, সেগুলি স্রেফ তাড়াহুড়োর কারণে হয়নি বলেই মনে করছেন সভাপতি। যে কপিতে সবার সই থাকছে, তাতে সমস্ত তথ্য ভুল থাকা একেবারে অন্য পর্যায়ের গাফিলতি। স্কুলগুলির কাজ ছিল ডিজিটাল কপিতে স্রেফ টিক মারা এবং কোনও সংশোধনী থাকলে তা পর্ষদের নজরে আনা। স্কুলগুলি সেই কাজেও ব্যর্থ হয়েছে।