সীমান্তে বেড়ার লক্ষ্যে বৈঠক জেলা প্রশাসন ও বিএসএফের
বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা বেড়েছে। বনগাঁ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত। অনেক জায়গায় নেই কাঁটাতারের বেড়া। তাই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ায় তৎপর হল প্রশাসন। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএসএফের আধিকারিকরা। এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, অতিরিক্ত জেলাশাসক কাজলকুমার রায়, পিনাকীরঞ্জন প্রধান, মহকুমা শাসক ঊর্মি দে বিশ্বাস, পুলিস সুপার দীনেশ কুমার সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে বিএসএফ আধিকারিক জানান, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার ব্যাপারে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি এদিন উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠকে বনগাঁ মহকুমার তিনটি ব্লক বাগদা, বনগাঁ ও গাইঘাটার বিডিও উপস্থিত ছিলেন। ব্লক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক স্তরে একাধিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে বনগাঁ মহকুমা শাসক ঊর্মি দে বিশ্বাস বলেন, এটা রুটিন বৈঠক। একাধিক দপ্তরের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত দু’দিনে পদ্মাপাড়ে একাধিক জায়গায় আগুন জ্বলেছে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী চলাচল ছিল অনেকটাই কম। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের অনেকের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। তাঁদের দাবি, দেশে ভয়াবহ অবস্থা চলছে! সেখানে স্বৈরাচারী ইউনুস সরকারের ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। এদিন পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন ফরিদপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা খারাপ। কিন্তু আমরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা কেউ ভালো নেই। বাংলাদেশের বাগেরহাট চিতলমারির বাসিন্দা প্রণব বিশ্বাস বলেন, কিছুদিন ভালো ছিল। আবার শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িও সুরক্ষিত নয়। দেশ এগচ্ছে ধ্বংসের দিকে।