সুবীর দাস, কল্যাণী: কোথাও পড়ে বিস্ফোরক। কোথাও পড়ে বাজির প্যাকেটর গায়ে লাগানো লেবেল। বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে থমথমে কল্যাণীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলার টালিখোলা। রাত থেকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ঘটনাস্থল। এদিকে, এদিন সকালে কল্যাণী থানা থেকে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আদালতে তোলা হবে তাকে।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১টা হবে। আচমকা ওই টিনের ছাউনি ঘেরা ঘর থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। লেগে যায় আগুন। তখন ওই বাজি কারখানায় কাজ চলছিল। কারখানায় কর্মরত ৫ শ্রমিক আটকে পড়েন। একজন আগুনে পুড়ে কোনওমতে কারখানার বাইরে আসেন। কিন্তু কারখানার ভিতরে আটকে পড়েন ৪ জন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।
মৃতদেহগুলি বর্তমানে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশ মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত। তাই মর্গের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাজি কারখানা। কীভাবে ঘুপচি ঘরের আড়ালে বাজি কারখানা গড়ে উঠল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃত খোকন বিশ্বাসকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। শনিবার ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেনসিক টিম। আপাতত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টায় তদন্তকারীরা।