• বিক্রেতা থেকে ‘নিষিদ্ধ’ বাজির ব্যবসায়ী, কী ভাবে রকেট উত্থান কল্যাণীর খোকনের?
    এই সময় | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংসার টানতে প্রথমে বাজি বিক্রির কাজ শুরু করেছিলেন কল্যাণীর সাধন বিশ্বাস ওরফে খোকন। ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়তে থাকে। কাঁচা টাকার লোভ বাড়তেই টিনের চাল, বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ছোট কারখানা তৈরি করে ফেলেন খোকন। সেই থেকেই নিষিদ্ধ বাজির কারবার শুরু। কারখানার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    শনিবার বিস্ফোরণের জায়গা দেখতে যান পুলিশের বিশেষ দলের আধিকারিকরা। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বাজি কারখানার মালিক সাধন বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন জায়গা থেকেই প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরির সরঞ্জাম ও প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। এ দিন খোকনকে আদালতে পেশ করে তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থেকে বাজি তৈরির দক্ষ কর্মচারী নিয়ে আসতেন খোকন। বাজি তৈরির জন্য স্থানীয় মহিলাদেরও নিয়োগ করা হতো। কল্যাণীর বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। একই সঙ্গে মৃতদের দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    ঘটনার পর থেকেই কল্যাণীর একাধিক এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানা ও গোডাউনে চলছে ধরপাকড়। ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি রথতলা এলাকায় বাজি কারখানা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আনাচে কানাচে অসংখ্য বাজি কারখানা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিস্ফোরণের পরে পুলিশ ও প্রশাসনের টনক নড়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)