২০১৬-র সরকারি স্কুল শিক্ষক (এসএলএসটি) নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শুক্রবার বলেন, “বহু নামী সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই। সেই সব স্কুলে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা পড়াশোনা করেছেন। এগুলো কি রাজ্যের ব্যর্থতা নয়?” বিচারপতির প্রশ্ন, “রাজ্য কি প্রতিবছর স্কুলে চাকরি দিতে ইচ্ছুক হয়?” ২০১৬ সালের এসএলএসটি নিয়োগে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে কি না, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান বিচারপতি বসু।
রাজ্যের আইনজীবী (এজি) কিশোর দত্তের থেকে তিনি জানতে চান, এখন নিয়োগ সম্ভব কি না। মামলাকারীদের পদ ফাঁকা রেখে বাকি পদে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানান এজি। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য রাজ্য সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করেছে। মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের আইনজীবী দাবি করেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সঙ্গে তাঁদের নিয়োগের সম্পর্ক নেই। শীর্ষ কোর্টে ১০ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বিচারপতি বসু জানান, তার পরেই এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।