• এই গ্রীষ্মেও জলকষ্টের আশঙ্কা দক্ষিণ দমদমে
    আনন্দবাজার | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বন্ধ করে মাটির উপরিভাগের জল সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে। যদিও অধিকাংশ বাড়িতে এখনও দু’রকম উৎসের মিশ্রিত জলই সরবরাহ হচ্ছে।

    এ দিকে, ওই পুর এলাকায় গজিয়ে উঠছে একের পর এক বহুতল। সেখানকার বাসিন্দারা আবেদন করলেও পুরসভা পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করতে পারছে না। অনুমোদন ছাড়াই ভূগর্ভের জল তুলে তা পানীয় জল হিসাবে বিক্রির কারবার চলছে।

    দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডে বাঙুর জল প্রকল্পের জল সরবরাহ করা হয়। বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে এ বারের গরমেও বাসিন্দারা চাহিদা অনুযায়ী মাটির উপরিভাগের জল না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, জলস্তর নামছে। বরাহনগর এবং বাঙুর জল প্রকল্প থেকে গড়ে দৈনিক প্রায় দু’কোটি ৪০ লক্ষ গ্যালন জল মেলে। তাতে দৈনিক ঘাটতি দাঁড়ায় গড়ে প্রায় ৮০ লক্ষ গ্যালন। তাই ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

    এই পরিস্থিতিতে পুরসভা অনুমোদনহীন জল কারখানার বিরুদ্ধে ওয়ার্ড-ভিত্তিক তালিকা বানিয়ে সম্প্রতি পদক্ষেপ করছে। যদিও অভিযোগ, আবাসনগুলি বিপুল ভূগর্ভস্থ জল তুলে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয় না। এর ব্যাখ্যায় এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘আবাসনের বাসিন্দারা জলের জন্য আবেদন করছেন। পুরসভাই জল দিতে পারছে না। তাই ভূগর্ভস্থ জল তোলা ছাড়া ওদের উপায় নেই।’’

    চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) মৃন্ময় দাস বললেন, ‘‘আবাসনের তরফে জল সরবরাহের আবেদন করলেও পুরসভা দিতে পারছে না। বাধ্য হয়েই বাসিন্দারা ভূগর্ভের জল ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে নিয়ম-বিরুদ্ধ জেনেও পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। বাঙুর এবং বরাহনগর জল প্রকল্প থেকে জলের জোগান বাড়লেই এই সমস্যা মিটবে। আপাতত সেই চেষ্টাই চলছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)