• সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি প্রাণ গেল ডানকুনির যুবকের? বৌমাকে নিয়ে অভিযোগ বাবার গলায়
    এই সময় | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ডানকুনিতে খুনের ঘটনায় সম্পর্কের টানাপোড়েনের তথ্য উঠে আসছে। নিহতের বাবার দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে বৌমার ডিভোর্সের মামলা চলছিল। বৌমার সঙ্গে অন্য একজনের সম্পর্কও ছিল বলেই দাবি নিহতের বাবার। ওই যুবককে আটকও করা হয়েছে বলে জানান নিহত বান্টি সাউয়ের বাবা। যদিও পুলিশ আটক বা গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেনি।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় মোটরবাইকে চেপে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বান্টি। ডানকুনির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্র্যান্ড সিটির কাছে তাঁকে গুলি করা হয়। বান্টিকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। বান্টি আর্থ মুভার চালাতেন। তিনি ডানকুনির বন্দের বিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

    বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলেন বান্টি। বছর চারেক আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দু বছর কাটতে না কাটতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয় বলে জানান বান্টির বাবা রাজকুমার সাউ। তাঁর দাবি, অশান্তির কারণে ছেলে ও বৌমাকে তিনি আলাদাও করে দেন। অন্য জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

    বান্টির বাবা বলেন, ‘মেয়েটা অশান্তি করত বলে আলাদা করে দিলাম। তার পর ছেলে জানতে পারে অন্য একজনের সঙ্গে বৌমা সম্পর্কে জড়িয়েছে। ছেলে বলে, সে আর ওর সঙ্গে থাকবে না। এ নিয়ে কোর্টে মামলাও চলছে। আগামী ২৪ তারিখ আদালতে শুনানির ডেট। তার আগেই ছেলেটাকে খুন করা হলো।’

    রাজকুমার জানান, বৌমার এক জামাইবাবু বান্টিকে হুমকি দিয়েছিলেন। ছেলের খুনে ওই যুবক যুক্ত থাকতে পারেন বলেও তাঁর সন্দেহ। সেই জামাইবাবুকেই শনিবার ডানকুনি থানায় ধরে আনা হয় বলে দাবি পরিবারের। ওই ব্যক্তির স্ত্রী-এর পাল্টা দাবি, ‘আমার স্বামী হুমকি দিতে যাবে কেন? ফোন চেক করলেই তো বোঝা যাবে কার সঙ্গে ও কথা বলেছে। বরং খোঁজ নেওয়া দরকার বান্টি কী করত, কার সঙ্গে থাকত, কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করত।’ চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। খুনের মোটিভ কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।

  • Link to this news (এই সময়)