২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনই হাতির হামলায় মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থীর। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে এবার তৎপর রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর। সেই জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোন, থার্মাল ক্যামেরা।
জলপাইগুড়ি বনবিভাগের সাতটি রেঞ্জের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার যে জায়গাগুলি হাতির হানার জন্য স্পর্শকাতর, সেই রকমই বেশ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করেছে বনবিভাগ। সোমবার স্পর্শকাতর এই সকল এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, তার জন্য আলাদা করে গাড়ির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গ বন বিভাগের বনপাল এসকে মোলে বলেন, জঙ্গল সংলগ্ন বনবস্তি, গ্রাম ও চা-বাগান এলাকা যেখানে হাতিদের করিডর রয়েছে, সেখানে বাড়তি নজরদারি থাকছে। ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড এবং রেঞ্জগুলোকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। এবার জলপাইগুড়ি জেলায় ১০০টি কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৬৮৮ জন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বন দপ্তরের ২৫টি গাড়ি রয়েছে। আরও ১০টি গাড়ির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন জঙ্গলের রাস্তায় ড্রপগেট দিয়ে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন জঙ্গলের শর্টকাট রুটে যাতায়াত বন্ধ করে দেবে বন দপ্তর। এছাড়াও পরীক্ষার দিনগুলিতে জঙ্গলের রাস্তায় তথা জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হাজির থাকবেন বনকর্মীরা।
২০২৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় হাতির হামলায় প্রাণ যায় অর্জুন দাস নামে এক পরীক্ষার্থীর। বাবার সঙ্গে বাইকে করে জঙ্গলের রাস্তা ধরে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার পথে হাতির হামলার মুখে পড়ে সে।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন ছাত্রছাত্রী। মোট ২,৬৮৩টি স্কুলে এবছর মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। সোমবার সকাল বেলা পৌনে ১১টা থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা।