অরূপ লাহা: পড়াশোনাতে মনযোগ না দেওয়ায় বকাবকি করে বাবা। অভিমানে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আত্মঘাতী ছাত্রীর নাম মনীষা ঘোষ(১৫)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামদহে।
মনীষা জামালপুরের চক্ষণজাদি হাইস্কুলে দশম শ্রেণী ছাত্রী। শুক্রবার রাতে বাবা পড়াশুনা নিয়ে বকাবকি করে। শনিবার সকালে বাবা কাজে বেরিয়ে গেলে অভিমানে বোতল পরিষ্কার করার অ্যাসিড খেয়ে নেয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার ঋজু করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিস মর্গে।
প্রসঙ্গত, পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া বীরভূমের সাঁইথিয়াতে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় কেন প্রথম হতে পারলেন না? মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী মেধাবী পড়ুয়া! মেস থেকে উদ্ধার হল মেধাবী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্য বর্ধমানে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভেচ্ছা ঘোষ। বাড়ি, বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন শুভেচ্ছা। পরিবার সূত্রে খবর, পড়াশোনার সুবিধার জন্যই বর্ধমান শহরের মেঘনাথ সাহা পল্লিতে একটি মেসে থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতেও দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে আর ফোন পাওয়া যাচ্ছিল না! মেস কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন শুভেচ্ছার বাড়ির লোকেরা। ঘরে গিয়ে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান মেসের লোকেরাই।
Disclaimer: আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭