• নাবালিকার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ! হাড়হিম ঘটনায় তোলপাড় নিউটাউন...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নান্টু হাজরা: শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ নিউটাউনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকার মৃতদেহ। তা নিয়ে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরের বাড়িতে পৌঁছায় মৃতার পরিবার। তারা বাড়িতে পৌঁছানোর পরে এলাকার বাসিন্দারা বডি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অভিযোগ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদেরকে না জানানো হলে তারা কোথাও বডি নিয়ে যেতে দেবে না। এর কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে ঘটনাস্থলে আসতে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা।

    মৃত নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছায় নিউটাউনে সিপিএম নেতা পরিমল মিস্ত্রি, সপ্তর্ষি দেব। এছাড়াও তার বাড়িতে যায় জ্যাংড়া হাতিয়ারার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিতা গায়েন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ মেম্বার আফতাব উদ্দিন ও স্থানীয় তৃণমূল নেতার শাহ আলম। এরা প্রত্যেকেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি তিন দিনের মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে নিউটন থানা ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করবে। অন্যদিকে প্রধান ও আফতাব উদ্দিন জানায়, এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় মদ ও গাজার আসর বসে। প্রশাসনকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বলে তাঁরা জানান।

     

    শুক্রবার রাতে নাবালিকার মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই তৈরি হয় উত্তেজনার পরিবেশ। স্থানীয়রা মৃতদেহের গাড়ি আটকে করে বিক্ষোভ। তাঁরা বলেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাঁদেরকে জানাতে হবে এবং তার পাশাপাশি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ সিপিআইএম নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে মৃতদেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় স্বরূপনগরের মৃতার বাড়িতে।

    সকল রাজনৈতিক পার্টির নেতারা মৃতার বাড়ি থেকে আলোচনা করে বডি নিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতদেহের গাড়ির সামনে এসে। নাবালিকার বাড়িতে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মৃতার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতদেহ না পোড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি। এরপরেই মৃত নাবালিকার বাবা মা জানান তাঁরা মৃতদেহ নিয়ে যাবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না বিচার পাচ্ছেন তাঁরা। এর মাঝেই ঘটনাস্থলে আসে তৃণমূলের সমর্থক ও নেতারা। ঘটনাস্থলে আসে নিউটাউন থানার পুলিশও। যখন তাঁরা সকলে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তখন সেখানে একটি উত্তেজনার পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার পারদ চড়লে শুরু হয় হাতাহাতি। হেনস্থার শিকার হয়েছেন শুভঙ্কর সরকার সহ সপ্তর্ষি দেবও। এসবের মাঝেই নাবালিকার মৃতদেহ নিয়ে বেড়িয়ে যান মৃতার পরিবার। বসিরহাটের স্বরূপনগরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এই মৃতদেহ। 

    নাবালিকা খুনের ঘটনায় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। সেখানে দেখা যায়, নাবালিকা বাড়ি থেকে বের হয় রাত ১০ টা নাগাদ। অন্য একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরের দিকের রাস্তায় একা হেঁটে যাচ্ছে ওই নাবালিকা। নিউটাউন আদর্শ পল্লী রোডের এক দিকে বিশ্ববাংলা সরনি, অন‍্য দিকে ভিআইপি রোড এবং মাঝে জগৎপুর। এছাড়াও জগৎপুর থেকে বাগুইআটি, কেষ্টপুর ও চরক তলা রোড ধরে যাওয়া যায় হানা পাড়ায়। হানা পাড়া থেকেও ঘটনাস্থলে যাওয়া যায়। এছাড়াও নিউটাউনে ঢোকার পর আছে একাধিক অলিগলি, সেই রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায় ঘটনাস্থলে। এই সকল জায়গার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিধাননগর পুলিস গোয়েন্দা বিভাগ ও সকল থানাকেও এলার্ট করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করার করছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)