পঞ্চায়েত অফিসেই কাকার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিতর্কে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ ব্লকের বাঁধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চিন্ময় সিট নামে এক কর্মী। তাঁর অভিযোগ, তিনি ছুটি চেয়ে আবেদন করেছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রধান ছুটি দিলেও বিডিও তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেননি। আর সেই কারণেই অফিসের মধ্যেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও নিজে। তাঁর দাবি, ছুটির কোনও আবেদন তাঁর কাছে জমাই পড়েনি।
জানা গিয়েছে, চিন্ময় সিট রামনগর-১ ব্লকের বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। তাঁর দাবি, কাকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান সেই আবেদন মঞ্জুরও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিডিও অনুমতি দেননি বলে তাঁর দাবি। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি পঞ্চায়েত অফিসেই কাকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নাপিত ডেকে চুলও কামান। তাঁকে পঞ্চায়েতের অন্যান্য কর্মীরাও সহযোগিতা করেছে বলে দাবি।
যদিও ছুটির আবেদন মঞ্জুর না করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিডিও পূজা দেবনাথ। তিনি জানান, ওই দিনে তিনি রামনগর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের একাধিক কর্মীকে ছুটি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চিন্ময়বাবুকে আলাদা করে না দেওয়ার কোনও কারণই নেই। তাঁর কাছে ছুটির জন্য কোনও আবেদনও জমা পড়েনি বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিডিওর কাছে ছুটি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। না হলে ছুটি পাওয়া সম্ভব নয়। চিন্ময়বাবু আদৌ লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। এই গোটা ঘটনায় বিডিও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।