আমলার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুরুলিয়া, শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
আজকাল | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অরিন্দম মুখার্জি: দীর্ঘদিন ধরে হঠাৎ এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক রানা বিশ্বাস। ডাক্তারি সমীক্ষায় ধরা পড়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক নাকি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। শনিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন রানা বিশ্বাস।
প্রয়াত আমলা রানা বিশ্বাসের স্ত্রী এবং কন্যা রয়েছেন। কর্মজীবনে এই আমলা নিজের কর্মদক্ষতাকে বজায় রেখে যেভাবে কাজ করে গিয়েছেন সেটা আজীবন পুরুলিয়া বাঁশি মনে রাখবেন। রানা বিশ্বাসের কর্মজীবন সম্বন্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন যে, 'এক কর্মঠ আমলার অকাল মৃত্যুতে আমাদের সরকারকে এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল।" মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "রানা বিশ্বাস যেভাবে সরকার পক্ষের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন তা সারা জীবন পুরুলিয়ার জনসাধারণ মনে রাখবে।"
গত ২৩ শে জানুয়ারি পুরুলিয়ার মানবাজার অঞ্চলের হাতি পাথর এলাকার ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকদের একটি বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২৭শে জানুয়ারি থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক রানা বিশ্বাস। শরীরে জ্বর থাকা সত্ত্বেও তিনি ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের এই বনভোজনে যোগদান করেছিলেন।
সেই সময় থেকেই আমলা রানা বিশ্বাসের শরীর যে হলুদ হয়ে যাচ্ছে, সেটা লক্ষ্য করেন পুরুলিয়া জেলাশাসক ড. রজত নন্দা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রানা বিশ্বাসকে উপদেশ দেন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার। ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি দেখা যায় তার শরীরে বিলিররবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। ফলে দ্রুত তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রানা বিশ্বাসের চিকিৎসা চলছিল। সেখনেই মৃত্যু হয় এই আমলার।
পুরুলিয়া জেলায় দীর্ঘদিন ধরে 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের সমস্ত কাজ দক্ষতার সঙ্গে করে চলেছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক রানা বিশ্বাস। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাপতি নিবেদিতা মাহাতো বলেন, "জেলা পরিষদের উন্নয়ন মূলক কাজ যে সহযোগিতা ও সততার সঙ্গে রানা বিশ্বাস করে চলেছিলেন তা গুরুত্বপূর্ণ এবং রানা বিশ্বাসের অকাল মৃত্যুতে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল জেলা পরিষদের।"