শনিবার রাতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে। কলকাতার নারকেলডাঙা বস্তিতে আবারও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা। আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ৪০টিরও বেশি ঘর। ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার জায়গায় প্রচুর দাহ্যবস্তু মজুত রয়েছে। ফলে আগুন সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিক-আপ ভ্যানেও। দমকলকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভাতে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরাও।
জানা গিয়েছে, এদিন রাত এগারোটা নাগাদ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে একের পর এক ঝুপড়ি। আগুন লাগার আতঙ্কে প্রাণ হাতে করে দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। রাতের আগুনে সর্বস্বান্ত বহু পরিবার। আগুনের বীভৎসতা এতটাই যে খালপাড়ের এক পাশ থেকে অন্য পাশের বস্তিতেও ছড়িয়েছে পড়ে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিক-আপ ভ্যানটিও আগুনে ভস্মীভূত। কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে গোটা অঞ্চল। আতঙ্কিত গোটা এলাকা মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল অনেকটা দেরিতে এসেছে, তার ফলে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। যদিও দমকলের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আধিকারিকরা। তারা জানিয়েছেন, ঘিঞ্জি জনবসতি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আগুনে ঘরে থাকা একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতেই দমকা হাওয়ায় বার বার জ্বলে উঠছে পকেট ফায়ার। ফলে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। মাথার উপর ছাদ হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন গৃহহারা বাসিন্দারা। আগুন লাগার ঘণ্টা তিনেক পরেও এখনও জ্বলছে লেলিহান শিখা।