দেউচায় কয়লাখনির কাজ দেখলেন জেলাশাসক, চালু হবে স্থায়ী ক্যাম্প
বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা ব্লক দেউচা-পাচামিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জোরকদমে কাজ চলছে। শনিবার প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক বিধান রায়। প্রকল্প এলাকায় একাধিক অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্প রয়েছে। আগামী দিনে পিডিসিএলের সাহায্য নিয়ে সেখানেই স্থায়ী পুলিস ক্যাম্প গড়ে তোলারও কথা রয়েছে। জমির নথি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে পৃথক চারটি ক্যাম্প চালু রয়েছে। সমস্যার সমাধান না হওয়া অবধি ওই ক্যাম্পগুলি চালু থাকবে। এদিন ক্যাম্পগুলিতে যান জেলাশাসক। কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নেন। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। দ্রুত সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে আধিকারিকদের নিয়ে জেলাশাসক প্রকল্প পরিদর্শনে যান।
জেলাশাসক বলেন, পূর্ণ গতিতেই খননের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে ক্যাম্পের কাজ ভালোই চলছে। বেশকিছু নথি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সোমবার শিবিরগুলি থেকেই স্থানীয়দের হাতে সেসব তুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর থেকেই দেউচা-পাচামিতে কাজ শুরু হয়েছে। চাঁদা মৌজায় ১২ একর সরকারি জমিতে সেই কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ ফুট গভীর বিশাল গর্তও খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। তার অদূরেই আরও একটি গর্ত খোঁড়ার কাজও চলছে। সেই কাজে চারটি আর্থমুভার ও একাধিক ডাম্পার মাঠে নেমেছে। এদিনও সকাল থেকে টানা খননকাজ চলছে। অদূরেই নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সেই মাটি জমা করে রাখা হচ্ছে। মাইনিং প্ল্যান অনুসারেই সমস্ত কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০মিটার মাটির নীচে ব্যাসল্ট রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরুর পরদিন থেকেই চাঁদা, সাগরবাঁদি, গামারবাথান, মথুরাপাহাড়ীতে চারটি ক্যাম্প চালু হয়। সেখানে মূলত জমির নথি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। সেই কাজও দ্রুতগতিতে চলছে।
খননকাজ শুরু হতেই প্রকল্প এলাকায় পুলিস পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে একাধিক অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। এদিনও সকাল থেকেই শতাধিক পুলিসকর্মী সেখানে ছিলেন। র্যাফের তরফেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। পুলিস সুপার আমনদীপ সহ একাধিক পুলিসকর্তা দিনের বিভিন্ন সময় প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখছেন। তবে শুধু দিনে নয়, রাতেও ওই প্রকল্প এলাকায় পুলিস মোতায়েন থাকবে। পুলিস সুপার বলেন, বর্তমানে অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্প করা হয়েছে। আগামী দিনে স্থায়ী পুলিস ক্যাম্প গড়া হবে। -নিজস্ব চিত্র