সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: রঘুনাথগঞ্জে দলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে আসরে নামলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আখরুজ্জামান। শনিবার বিকেলে সেকেন্দ্রায় দলের সব পক্ষকে নিয়ে বসেন তিনি। এদিনের সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি ইউসুফ শেখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইলিয়াস চৌধুরী সহ নেতৃত্বরা। এদিন খেজুরতলায় একটি দলীয় কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এলাকায় দল পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন তিনি। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। উন্নয়নের নিরিখে সেকেন্দ্রা অঞ্চলকে ব্লকের প্রথম সারিতে নিয়ে গিয়ে নিন্দুকের মুখে চুনকালি দেওয়ার কথা বলেন তিনি। যদিও শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোকে ভোটের আগে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট একটি পরিবার। সেখানে একসঙ্গে চলতে গিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে মতের মিল নাও হতে পারে। কিন্তু দল একটিই, আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আমি মতবিরোধ দূরে সরিয়ে সকলকে নিয়ে চলার জন্য বলেছি। এতে এলাকার উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষের লাভ হবে।
রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লকের সেকেন্দ্রায় এলাকা দখলের লড়াই দীর্ঘদিনের। এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের দখলে রাখতেই গণ্ডগোল জিইয়ে রাখা হতো বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। বিশেষ করে সেকেন্দ্রা, খেজুরতলা ও লালখান দিয়ারের নিয়ন্ত্রণ কোন পক্ষের হাতে থাকবে, তা নিয়েই বিরোধ চরমে ওঠে। প্রায়শই মারধর, বোমাবাজি ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে একে-অপরের বিরুদ্ধে। দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে প্রায়শই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মাস খানেক আগেই বাইরে থেকে লোক এনে সাধারণ মানুষকে ভীতি প্রদর্শন, গালাগালি ও পিস্তল নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদলের এক পক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। এবার গোষ্ঠী কোন্দলের অবসান ঘটল বলে দাবি তৃণমূলের। এলাকায় কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয়, তারজন্য একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা হলে এই কমিটি তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত উভয় গোষ্ঠীর সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা সাবির আহমেদ বলেন, এলাকায় অশান্তি কেউ পছন্দ করে না। আমরা চাই সকলেই মিলেমিশে চলতে। আজকে সকলেই মিলিত হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। -নিজস্ব চিত্র