নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: প্রয়াত হলেন পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) রানা বিশ্বাস। শনিবার ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণে শোকাহত গোটা জেলা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলেও। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত ২৭ তারিখ সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরেরদিন তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দ্রুত অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে কলকাতারই অন্য একটি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। সেখানেই এদিন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, লেপ্টোস্পাইরা নামের এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে জ্বর মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ থাকলেও দ্রুত তাঁর শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে থাকে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। জন্ডিস দেখা দেয়। হাসপাতালে ভর্তির ষষ্ঠ দিন থকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। চিকিত্সকরা চেষ্টা চালালেও চিকিত্সায় তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৮ সালে কলকাতার কাঁকুরগাছিতে জন্ম রানাবাবুর। ২০০৫ সালে ডব্লুবিসিএস পাশ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন জেলায় নানা পদের দাইগত্ব সামলান। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সকল কর্মাধ্যক্ষ, প্রশাসনিক আমলারা। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক রানা বিশ্বাসের আকস্মিক ও অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস(এক্সিকিউটিভ) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে রানা বিশ্বাস শুধু একজন দূর্দান্ত অফিসারই ছিলেন না, একজন নিখুঁত ভদ্রলোকও ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।’ রানা বিশ্বাস। -ফাইল চিত্র