হলদিয়ায় ব্রহ্মচারী ভক্তিচৈতন্য মহারাজের ৯৮তম আবির্ভাব দিবস উদযাপিত হল
বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমে শনিবার যথাযথ শ্রদ্ধা ও মর্যাদায় ব্রহ্মচারী ভক্তিচৈতন্য মহারাজের ৯৮তম আবির্ভাব দিবস উদযাপন হল। স্বামী বিবেকানন্দের কর্মযোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুতাহাটা, হলদিয়ায় শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেবামূলক কাজে তিনি বড় অবদান রেখেছেন। বিশেষত স্বাধীনতার পর সুতাহাটার গ্রামে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। মেদিনীপুর ছাড়িয়ে তাঁর সেবামূলক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। তিনি সুতাহাটার মানুষের কাছে চিত্ত মহারাজ নামে পরিচিত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় ভক্তিচৈতন্য মহারাজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুর্গাচকে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু জানা প্রমুখ।
১৯২৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সুতাহাটার গোবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ভক্তিচৈতন্য মহারাজ। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আশ্রয়স্থল। কৈশোরে শ্রীরামকৃষ্ণদেব, মা সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশের পর ১৯ বছর বয়সে স্থানীয় বরদা শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে যোগ দেন। ওই আশ্রমে স্বামী কৃষ্ণানন্দজি মহারাজ, প্রেমানন্দতীর্থ মহারাজ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রাবীণ মহারাজ এবং সাধিকা মা আনন্দময়ীর সান্নিধ্যে আসেন। পরবর্তী সময়ে ব্রহ্মচর্য ব্রতে দীক্ষা পেয়ে তাঁর নাম হয় ব্রহ্মচারী ভক্তিচৈতন্য।
১৯৬১ সালে কেশবপুর সংলগ্ন রামপুর গ্রামে ক্ষুদ্র একটি মাটির কুটিরে কয়েকজন ব্রহ্মচারী, সেবক কর্মী ও গৃহী ভক্তদের নিয়ে তিনি বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৭ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ৭৯ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তে এমন একজন সেবাব্রতী, উদার ও পথ প্রদর্শকের অভাব অনুভব করছি। এদিন তিনি চিত্ত মহারাজের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সান্নিধ্য ও সেবাকর্মের নানা দিক তুলে ধরেন।