উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূলের, ফিরতে হল রেল আধিকারিকদের
বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রেলের জায়গা দখলমুক্ত করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল রামপুরহাটে। শনিবার জেসিবি নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে আসেন রেল আধিকারিকরা। কিন্তু, তৃণমূল নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে তাঁদের ফিরতে হয়।
রামপুরহাট স্টেশন সংলগ্ন ৪নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের অধিকাংশই রেলের জায়গা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে রেলের জায়গায় প্রায় ২৫০টি পরিবার বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে কেউ পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়া রেল কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকেন। পুরসভার পক্ষ থেকে গড়ে তোলা বেশকিছু সরকারি বিল্ডিংও সেখানে রয়েছে। এর আগে রেলের তরফে একাধিকবার উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি একটি নোটিস জারি করা হয়। তাতে শনিবার উচ্ছেদে নামার কথা জানানো হয়েছিল। সেইমতো শুক্রবার রাতে সকলকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা আব্বাস হোসেন। যা নিয়ে আরপিএফের সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি দেখার জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকতকে দায়িত্ব দেন বিধায়ক। বেলা ১১টা নাগাদ প্রচুর আরপিএফ ফোর্স, জেসিবি নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে আসেন রেলকর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূলের পতাকা কাঁধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জমায়েত হন। বাসিন্দারা জানান, বহু বছর ধরে তাঁরা বসবাস করছেন। এখন তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে পথে বসতে হবে। রেল যদি খালি জায়গায় তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তা হলে সরে যেতে তাঁদের আপত্তি নেই।
বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার ও তৃণমূল নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি রেলকর্তাদের কাছে সরে যাওয়ার জন্য ১৫দিন সময় চান। চেয়ারম্যানের আবেদনের ভিত্তিতে রেলকর্তারা উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অবশেষে ১৫দিন সময় দিয়ে ফোর্স নিয়ে ফিরে যান রেলকর্তারা।