• এবার মাদক পাচারকারীদের হাতিয়ার ‘ইমো’
    বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: মাদক পাচারকারীদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ইমো অ্যাপ। এই অ্যাপেই তারা এখন নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালায়। মাদকের অর্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে তার ডেলিভারি পুরোটাই হয় ইমো অ্যাপ মারফত। পাচারের সময়ে ক্যারিয়ারদের সঙ্গে এই অ্যাপের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখা হয়। নতুন এই অ্যাপের ব্যবহার বিপাকে ফেলেছে তদন্তকারী অফিসারদের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অপরাধ সংক্রান্ত কোনও গোপন কিছু জানার জন্য এই অ্যাপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার জবাব মেলে না। হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে কিন্তু জবাব দেওয়া হতো। যার জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে ইমো অ্যাপের শরণাপন্ন হয়েছে মাদক পাচারকারীরা। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘সরাসরি ফোনের মাধ্যমে মাদক পাচারকারীরা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। আগে তাও তারা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলত। কিন্তু এখন তারও চল নেই। বর্তমানে ইমো অ্যাপের মাধ্যমে তারা কথা বলে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় এই অ্যাপের ব্যবহার আমরা জানতে পেরেছি।’


    এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে বিশেষ সুবিধা পায় পাচারকারীরা। কারণ এর মাধ্যমে কথোপকথন হলে তার হিস্ট্রি থাকে না। তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্য পুলিস চাইলেও তা দেওয়া হয় না। পুলিসের দাবি, চোরাই কিংবা সাধারণ সিম কিনে সেই নম্বর দিয়ে এই অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলে মাদক পাচারকারীরা। তারপর সেই সিমটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সচরাচর সিম নিষ্ক্রিয় করলে ফোন নম্বরের অস্তিত্ব থাকে না। কিন্তু ইমো অ্যাপের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় সিমের ফোন নম্বর অ্যাপে সক্রিয় থাকে। তাই ফোন নম্বর ধরে পাচারকারীদের ট্রেস করতে পারে না পুলিস। কিন্তু ওই নম্বর ব্যবহার করে মাদক পাচার চালিয়ে যায় কারবারিরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে চাপড়া থানা শোনপুকুর এলাকা থেকে ১০০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। লরিতে করে উত্তরবঙ্গ থেকে তা নিয়ে আনা হচ্ছিল চাপড়াতে। গাড়ির চালক গ্রেপ্তার হয়। তদন্তে নেমে পুলিস দেখে, ধৃতের ফোনে কথোপকথনের কোনও হিস্ট্রি নেই। অথচ ইমো অ্যাপের মাধ্যমে তারা লাগাতার একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। 
  • Link to this news (বর্তমান)