• ইটাহার বিডিও অফিস চত্বরে নিকাশিনালার কাজে অনিয়মের অভিযোগ
    বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, ইটাহার: বড় নিকাশিনালা হয়নি। পুরনো নিকাশিনালা সংস্কার ও  তার উপর স্ল্যাব বসিয়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগে সরব বিজেপি। বিডিও অফিস চত্বরে কাজের এই  বিতর্ক নিয়ে শোরগোল ইটাহারে। তবে বিজেপির তোলা এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ বিডিও দিব্যেন্দু সরকার। তাঁর কথায়, বিডিও অফিস চত্বরে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ড্রেন নির্মাণ ও তার উপর স্ল্যাবের কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে টাকাও পেমেন্ট করা হয়েছে। প্রত্যেক ৬০ মিটারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এই বিষয়টা সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ভালো বলতে পারবেন, কাজটা কত মিটার হয়েছে। তবে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজ জিও ট্যাগ করে করা হয়। ফলে দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। এবিষয়ে মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ এলে তদন্ত করে দেখা হবে। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইটাহার বিডিও অফিস চত্বরে বড় নিকাশিনালা নির্মাণের জন্য ৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৯০ টাকার টেন্ডার করা হয়। সেই টেন্ডার অনুযায়ী বড় নিকাশিনালা নির্মাণের সম্পূর্ণ টাকা ২৪ এর ডিসেম্বরে মিটিয়ে দেওয়া হয় বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে। বাসুদেবের দাবি, বিডিও অফিস চত্বরে আদতে কোনও বড় নিকাশিনালা নির্মাণ হয়নি। হাইড্র্যান্ট দেখাতে পারবেন না বিডিও সাহেব।


    বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে সরকারি টাকা গেল কোথায়? বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্র টাকা দিলেও তা নয়ছয় করছে তৃণমূল নেতা থেকে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব বলেন, আমরা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে এই অনিয়মের কথা লিখিতভাবে জানাব। এবিষয়ে কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক কামরুল হক জানান, সরকারি আধিকারিকদের একাংশের মদতে তৃণমূল দুর্নীতি ও কাটমানিতে জড়িত।  ইটাহার বিডিও অফিসের একটা বড় নিকাশিনালা পুরো গায়েব করে দিল। বিডিও অফিস চত্বরে এই অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, বিডিও অফিস চত্বরে নিকাশিনালা সংস্কার ও তার ঢাকনা বসানো হয়েছে।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)