পুলিস পরিচয়ে শহরের রাস্তায় শিক্ষিকার সোনার চেন ছিনতাই
বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শনিবার সকালে আলিপুরদুয়ারের এক স্কুল শিক্ষিকার সোনার চেন, হাতের চুরি ও আংটি ছিনতাই করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সকাল ১০টা নাগাদ শহরের ব্যস্ততম রাস্তা বক্সা ফিডার রোডের মহাকাল ধামে। ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
মহাকাল ধামের বাসিন্দা ঝুমা কর রাজাভাতখাওয়া হাইস্কুলের শিক্ষিকা। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুল যাওয়ার জন্য ঝুমাদেবী তেমাথা মহাকাল ধামে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেসময় হঠাৎই বাইকে চেপে দুই যুবক এসে হাজির হয় তাঁর সামনে। বাইক থেকে নেমে দুই যুবক পুলিসের পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাঁকে বলেন, শহরে খুব ছিনতাই হচ্ছে। গয়না খুলে ব্যাগে রেখে দিন। সেই সময় সেখানে অন্য এক যুবকও এগিয়ে এলে তাকেও বাইক আরোহীরা হাতের আংটি খুলে পকেটে রাখতে বলে। ওই যুবকও তার হাতের আংটি খুলে পকেটে রেখে দেয়। এরপরই ঝুমাদেবী বিশ্বাস করে গলার চেন, হাতের চুরি ও আংটি খুলে ব্যাগে রাখার সময়ই মুহূর্তের মধ্যে দুই যুবক তা ছিনিয়ে নিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এদিকে, হাতের আংটি খুলে পকেটে রাখা অন্য যুবকও ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়। কোনও কিছু বোঝার আগেই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ঝুমাদেবী। পরে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন। কিন্তু স্থানীয়রা ছুটে গেলেও তিন যুবক ততক্ষণে নিখুঁত অপারেশন চালিয়ে চম্পট দেয়।
জানা গিয়েছে, বাইক আরোহী দুই যুবক নিউ আলিপুরদুয়ারের রাস্তা ধরে চম্পট দেয়। সাত সকালে শহরে ছিনতাইয়ের নয়া কৌশলে শোরগোল পড়ে যায়। ঝুমাদেবী বলেন, পুলিসের পরিচয় দেওয়ায় বিশ্বাস করেছিলাম। তাই গয়না খুলে ব্যাগে রাখার সময় যে দু্ষ্কৃতীরা এমন কাজ করে বেকুব বানিয়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি পুলিসকে জানিয়েছি।
ঝুমাদেবীর আত্মীয় তথা তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক সভাপতি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। তবে বড় ধরনের কোনও বিপদ ঘটেনি।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিস। শহরের সিসি ক্যামেরাগুলি খতিয়ে দেখছে তারা। পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, শহরে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে। এখনও কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি। নিজস্ব চিত্র।