রাত হলেই যানবাহনের ভাড়া বেশি চাওয়ার অভিযোগ, সমস্যায় যাত্রীরা
বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: রাত হলেই পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ি-গাজোল রুটে বেসরকারি চারচাকা সহ বিভিন্ন যানবাহনের ভাড়া দুই থেকে তিন গুণ বেশি চাওয়ার অভিযোগ উঠছে। ভাড়া নিয়ে ওই রুটের একাংশ যানবাহন চালকের সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। অনেক যাত্রী আবার তর্কে না গিয়ে ঘটনাস্থলেই যানবাহন চালকদের কিছু টাকা ভাড়া কামানোর আর্জি জানাচ্ছেন। তবুও চালকদের একাংশ যাত্রীদের যানবাহনে না উঠিয়ে গাড়ি নিয়ে স্থানত্যাগ করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে যাত্রীরা খুবই বিরক্ত। অনেকেই এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী যাত্রী পিন্টু সাহা বলেন, আমার বাড়ি গাজোলে। মঙ্গলবাড়িতে একটি মালিকের অধীনে কাজ করি। রাতে হিসেব বুঝিয়ে দিতে একটু দেরি হয়। কিছুদিন আগে রাত তখন ৮টা বাজে। সরকারি-বেসরকারি বাস পাচ্ছিলাম না। অনেক বেসরকারি ছোট যানবাহন গাজোলের যাত্রীর জন্য দাঁড়ায়। গাজোল যাওয়ার জন্য ওই ছোট যানবাহনের চালকরা আমাদের কাছে ১০০ টাকা করে দাবি করে। যেখানে মঙ্গলবাড়ি থেকে গাজোলের ভাড়া মাত্র ২৫ টাকা। শুনে হতবাক হয়েছি। এগুলি দিক প্রশাসনের দেখা উচিত।
দু’দিন আগেই একই রকম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন গাজোলের ভোলা পোদ্দার নামে এক যুবক। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিশেষ কাজে পুরাতন মালদহে এসেছিলাম। গাড়ি পাইনি। ছোট ছোট গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। ভাড়া তিন গুণ বেশি চেয়েছে। অন্য কোনও যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই অগত্যা গন্তব্যে পৌঁছতে হল।
উল্লেখ্য, পুরাতন মালদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র মঙ্গলবাড়ি। সেখানে পুরনো জাতীয় সড়কের উপর অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। ওই জায়গা থেকে গাজোল, চাঁচল সহ উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের রুটের গাড়ি পাওয়া যায়। সেজন্য সাধারণ যাত্রীরা সেখানে বেশি ভিড় করে। রাতে মওকা বুঝে চালকদের একাংশ ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলে যাত্রীরা দাবি করেছেন। এদিকে চলন্ত গাড়িতে অত্যধিক বেশি ভাড়া চাওয়ার কারণ বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট চালকরা। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, যাত্রীদের থেকে অত্যধিক বেশি ভাড়া নেওয়া ঠিক নয়। শহরের ঘটনা আমরা নজর রাখব। অভিযান করা হবে।
মালদহ বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, রাত আটটার পর বেসরকারি বাস সেভাবে চলে না। তখন বিভিন্ন ছোট গাড়ি বেআইনিভাবে দেদার যাত্রী তুলছে। অতীতে প্রশাসনকে বলেও লাভ হয়নি। এর ফলে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট হচ্ছে।