সংবাদদাতা, কালিয়াচক: কালিয়াচকের বিভিন্ন জায়গায় যানজট নতুন নয়। বরাবরই যানজট সমস্যার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। নিত্যদিন যানজটের জেরে ভুগতে হয় স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়িচালক থেকে যাত্রীদের। যানজটের তীব্র আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কেননা সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ফাইনাল পরীক্ষা। গত বছরও বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর যানজটের জেরে সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যা হয়েছিল।
সুজাপুর, জালালপুর, কালিয়াচক চৌরঙ্গী ও ১৮ মাইল সহ টাউনশিপ এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর প্রায়ই যানজট হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এই যানজট আরও বেশি হয়। কারণ এক এলাকার পরীক্ষার্থীদের ১০-১৫ কিমি দূরের কোনও স্কুলে সিট পড়ে। সেই পরীক্ষা কেন্দ্র যাওয়ার জন্য অনেকেই টোটো থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী গাড়ি ভাড়া করে। এত যাত্রীবাহী গাড়ি একই সময়ে চলাচলের কারণে যানজট প্রবল আকার নেয়।
কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর থানার অধীনে থাকা স্কুলগুলির মূল যোগাযোগের সূত্রই হচ্ছে জাতীয় সড়ক। কিন্তু অতিরিক্ত টোটো এবং ছোট গাড়ির দাপট থাকে এই এলাকার জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপর। বৈষ্ণবনগর হাইস্কুলের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সমর দাস বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই দেখে আসছি এই এলাকায় পারদেওনাপুর, কুম্ভীরা, বীরনগর এলাকা থেকে পরীক্ষা দিতে আসে বহু মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা। আগে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী সাইকেলে করেই পরীক্ষা দিতে চলে যেত। কয়েক বছর ধরে সময় বাঁচাতে অনেকে গাড়ি ভাড়া করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। এবছর আমার ছেলেও পরীক্ষা দেবে। কিন্তু যানজটের ভয়ে গাড়ি রিজার্ভ করিনি। গত বছর প্রবল যানজট হয়েছিল। আমাদের এক প্রতিবেশীর মেয়ে সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি।
যদিও শিক্ষাদপ্তরের বৈষ্ণবনগর সার্কেলের ইনচার্জ সুশান্ত সরকার বলেন, আমরা পুলিসকে বিস্তারিত জানিয়েছি যাতে ট্রাফিক সমস্যা না হয়। পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ট্রাফিক সামলানোর জন্য অতিরিক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিস কর্মীরা থাকবে। যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারে সেজন্য সব বন্দোবস্ত করা হবে। বৈষ্ণবনগর থানার এক ট্রাফিক অফিসার বাপী গোস্বামী বলেন, কালিয়াচকের চৌরঙ্গী ও সুজাপুরে যাতে কোনওভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্রাফিক সমস্যায় পড়তে না হয় তার বন্দোবস্ত করা হবে।