• ২০০টি মোবাইল ফোন চুরি করেছিল মধ্যপ্রদেশের গ্যাং
    বর্তমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মধ্যপ্রদেশের মহিলা মোবাইল চোর গ্যাংয়ের হাতে ছিল প্রায় ২০০ মোবাইল। কাউকে পাঁচ হাজার, কারোর থেকে আবার সাত হাজার, কোনও ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকায় পথেঘাটে সেই মোবাইল   বিক্রি করেছিল তারা। কোনও এক বড় মোবাইলের গোডাউন থেকে সেই ফোন চুরি করে এনেছিল দলের সদস্যরা। তবে ঠিক কোন এলাকা থেকে ওই মোবাইল ফোন চুরি আনা হয়েছিল সে বিষয়ে এখনও পুলিসের কাছে মুখ খোলেনি ধৃত পাঁচ মহিলা। ভাঙা হিন্দিতে জেরার প্রশ্নের উত্তর দিলেও, কঠিন প্রশ্নের উত্তরে মধ্যপ্রদেশের একাধিক স্থানীয় ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলে অভিযুক্তরা। কাজেই সেই সময় তদন্তকারী আধিকারিকদের ভাষা বুঝতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। তদন্তে আপাতত এটাই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর জেরে সঠিক উত্তর পাননি তদন্তকারীরা। 


    বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় থেকে মধ্যপ্রদেশের মোবাইল চোর গ্যাংয়ের পাঁচ মহিলা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিস। তাদের সঙ্গে দুই শিশু ও এক নাবালককেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় দশটি দামি কোম্পানির মোবাইল ফোন। শুক্রবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। আলাদা আলাদাভাবে জেরা চলাকালীন ধৃতদের কেউ কেউ তাদের কাছে থাকা মোবাইলের সংখ্যা দুশোর কাছাকাছি ছিল বলে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে একসঙ্গে জেরা করার সময় সংখ্যা পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তবে হাল ছাড়ছে না পুলিস।


    শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি(পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা ওই মহিলাদের দফায় দফায় জেরা করছি। তাদের দেওয়া প্রত্যেকটি নথি ও বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


    কয়েকদিন ধরেই শহরের একাধিক এলাকায় টোটো, অটোর যাত্রী মূলত মহিলারা দাবি করছিলেন যে কোলে বাচ্চা নিয়ে এসে পাশে বসে থাকা মহিলারা টাকার পার্স, মোবাইল ফোন চুরি করে পালাচ্ছিল। পরনে সাদামাটা জামাকাপড়, কোলে বাচ্চা, ভাষায় অবাঙালি পরিচয় পেলেও এমন মানুষ শিলিগুড়ির আনাচে কানাচে প্রচুর বসবাস করেন, কাজেই পুলিসের পক্ষে ওই দলের সদস্যদের খুঁজে বার করা সহজ হচ্ছিল না। এরমধ্যে পুলিস একইধরনের কিছু মহিলা তিনবাত্তি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে বলে জানতে পারে। এরপরই অভিযান হয়। পুলিস দেখে প্রথমে আলাদা আলাদাভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ধৃতরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিসের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ওই পাঁচ মহিলা। থানায় নিয়ে এসে তল্লাশি চালাতেই মহিলাদের  অন্তর্বাস থেকে পাওয়া যায় দশটি মোবাইল। এরপরই তাদের জেরা করে একাধিক তথ্য হাতাতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)