নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ডানকুনিতে গুলি করে এক যুবককে খুনের ঘটনায় তাঁর এক আত্মীয়কে আটক করল পুলিস। আটক ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার তেঁতুলতলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি মৃত বান্টি সাউয়ের স্ত্রীর তরফে আত্মীয়। মৃতের পরিবারের কাছ থেকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু সূত্র পুলিস পেয়েছিল। তারই ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে চন্দননগর কমিশনারেট পুলিসের একটি দল তেঁতুলতলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পেশায় জেসিবি চালক বান্টির খুনের পিছনে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিবাদের ভূমিকার ইঙ্গিত মিলেছিল। শনিবার মৃতের বাবা তাঁর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। ফলে, জেসিবি চালকের খুনের রহস্য গাঢ় হচ্ছে বলেই পুলিস মনে করছে।
শনিবার খুনের তদন্তে দ্বিতীয় দফায় গিয়েছিলেন চন্দননগরের কমিশনার অমিত জাভালাগি। তিনি বলেন, কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জোরকদমে তদন্ত চলছে। মৃতের বাবা রাজকুমার সাউ বলেন, আমার পুত্রবধূ ছেলের বিরুদ্ধে দাম্পত্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিল। পরে ছেলে জানতে পারে, পুত্রবধূর পরকীয়া সম্পর্ক আছে। সে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়েছিল। শনিবার পুলিস যাঁকে আটক করেছে, সেই ব্যক্তি আমার ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। ওই ব্যক্তি আমার পুত্রবধূকে পরকীয়ায় সাহায্য করতেন।
যদিও আটক ব্যক্তির স্ত্রী এদিন বলেন, বান্টির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক বিবাদ চলার সময়ে আমরা হস্তক্ষেপ করেছিলাম। বান্টির স্ত্রী আমাদের ডেকেছিলেন। কারণ, নিকট আত্মীয়দের মধ্যে আমরাই কাছাকাছি থাকি। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে আমরা ওঁদের বিষয়ে আর কোনও হস্তক্ষেপ করিনি। আমার স্বামী নির্দোষ।
শুক্রবার রাতে ডানকুনি চৌমাথার কাছে দিল্লি রোডের ধার থেকে গুলিবিদ্ধ বান্টি সাউকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ডানকুনি বন্দেরবিলের বাসিন্দা একটি শিল্পসংস্থার শ্রমিক ওই যুবকের হত্যা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। শনিবারের পরে পুলিসের দাবি, খুনের উদ্দেশ্য কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে।